বাংলাদেশে যদি উমর রা. এর শাসন থাকতো!
মনে করুন আজকে বাংলাদেশের শাসক হলেন উমর ইবনুল খাত্তাব রা.। তার শাসনামলেই আইনজীবী "আলিফ"কে শহিদ করে দিল চট্টগ্রামের ইশকন সদস্যরা। তখন উমর রা. এর কর্মপন্থা কী হতো?
ওনার কর্মপন্থা বোঝার জন্য ইতিহাস থেকে একটা ঘটনা পড়ে নেয়া যাক।
তখন উমর রা. এর শাসনামল চলমান। ইয়ামানের সানআ এলাকায় ঘটে গেল এক অপ্রীতিকর ঘটনা। ইয়ামানের গভর্নর ইয়ালা ইবনে উমাইয়া রা. বিস্তারিত ঘটনা উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন:
এক লোকের সন্তান (সম্ভবত তার মা মারা গিয়েছিল) তার স্ত্রীর কাছে লালিত পালিত হতো। সেই বাচ্চার নাম ছিল "আসিল"। কোন একদিন বাবা তার সন্তানকে সৎ মায়ের কাছে রেখে কোথাও চলে গেল। সেই সৎ মায়ের কিছু ফ্রেন্ড ছিল (সম্ভবত পরকীয়া প্রেমিক)। তারা এই বাচ্চাকে নিজেদের জন্য ঝামেলার কারণ মনে করলো। তারা আশংকা করলো, এই বাচ্চা তার বাবার কাছে তাদের কুকীর্তি প্রকাশ করে দিবে। এজন্য তারা পরামর্শ করে সেই মহিলার ৫ অথবা ৭ জন বন্ধু মিলে "আসিল"কে h.ত্যা করে ফেলে। এরপর তাকে একটি পরিত্যক্ত কূপে ফেলে দিয়ে আসে।
এরপর সেই সৎ মা নিজেই চিল্লাপাল্লা করে বলতে থাকে, আসিলকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সে আরও দুয়া করে-
"হে আল্লাহ! আপনি আসিলের h.ত্যাকারীর পরিচয় আমার কাছে গোপন রাইখেন না।"
তখন ইয়ালা ইবনে উমাইয়া রা. সেই হারানো বাচ্চার ব্যাপারে লোকদের মাঝে ঘোষণা দেন।
এর কিছুদিন পর এক ব্যক্তি সেই কূপের পাশ দিয়ে অতিক্রম করার সময় দেখতে পায়, কিছু মাছি কূপের মধ্যে প্রবেশ করছে, আর কিছু মাছি সেখান থেকে উঠে আসছে। এই দৃশ্য দেখে তার মনে সন্দেহ হয়। সে কূপের কাছে গিয়ে উঁকি মেরে দেখতে গেলে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ অনুভব করে। এরপর সে ওখান থেকে চলে এসে ইয়ালা ইবনে উমাইয়া রা. এর দরবারে উপস্থিত হয়ে পুরো ঘটনা খুলে বলেন।
ইয়ালা ইবনে উমাইয়া রা. ঘটনা শুনে লোকজন নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন। তখন h.ত্যাকাণ্ডে জড়িত সৎ মায়ের সেই ঘনিষ্ঠরাও সেখানে জড়ো হয়। জড়িতদেরই একজন বলে, আমাকে রশিতে বেঁধে নীচে নামাও। তখন তাকে রশিতে বেঁধে নীচে নামানো হলে সে লাশটি কূপের তলদেশের একটি সুড়ঙ্গ বা গর্তে লুকিয়ে রেখে উপরে উঠে এসে বলে, কূপের মধ্যে তো কিছুই নেই।
তখন আরেকজনকে রশিতে বেঁধে নীচে নামানো হয়। তখন সে "আসিলের" লাশ খুঁজে পায় এবং তা বের করে নিয়ে আসে। তখন হাতেনাতে ধরা খেয়ে সেই সৎ মা সহ অন্যান্য জড়িতরা সকলেই h.ত্যার কথা স্বীকার করে।
এই ঘটনার বিচার কার্য বাস্তবায়ন পদ্ধতি সম্পর্কে উমর রা. এর কাছে চিঠি মারফত জিজ্ঞেস করা হলে উমর রা. সকলকে h.ত্যার নির্দেশ দেন। এমনকি চিঠিতে তিনি বলেন:
"পুরো সানআবাসীও যদি এই h.ত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতো, তাহলে আমি তাদের সকলকেই h.ত্যা করতাম।"
সূত্র:
মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক গ্রন্থে হুবহু এভাবে বিস্তারিত এসেছে। ১৮০৭৭ নং হাদিস।
একই ঘটনা বুখারীতেও সংক্ষিপ্তভাবে এসেছে।
أَنَّ غُلاَمًا قُتِلَ غِيلَةً فَقَالَ عُمَرُ لَوْ اشْتَرَكَ فِيهَا أَهْلُ صَنْعَاءَ لَقَتَلْتُهُمْ
"একটি বালককে গোপনে h.ত্যা করা হয়। তখন উমর (রাঃ) বললেন, যদি গোটা সান’আবাসী এতে অংশ নিত তাহলে আমি তাদের সকলকেই h.ত্যা করতাম।"
(সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬৮৯৬)
এবার চিন্তা করুন আজ যদি উমর রা. বাংলাদেশে থাকতেন তাহলে তিনি কী বলতেন? তিনি কেমন ফয়সালা করতেন?
✍️ Masum Billah Hafi.
মনে করুন আজকে বাংলাদেশের শাসক হলেন উমর ইবনুল খাত্তাব রা.। তার শাসনামলেই আইনজীবী "আলিফ"কে শহিদ করে দিল চট্টগ্রামের ইশকন সদস্যরা। তখন উমর রা. এর কর্মপন্থা কী হতো?
ওনার কর্মপন্থা বোঝার জন্য ইতিহাস থেকে একটা ঘটনা পড়ে নেয়া যাক।
তখন উমর রা. এর শাসনামল চলমান। ইয়ামানের সানআ এলাকায় ঘটে গেল এক অপ্রীতিকর ঘটনা। ইয়ামানের গভর্নর ইয়ালা ইবনে উমাইয়া রা. বিস্তারিত ঘটনা উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন:
এক লোকের সন্তান (সম্ভবত তার মা মারা গিয়েছিল) তার স্ত্রীর কাছে লালিত পালিত হতো। সেই বাচ্চার নাম ছিল "আসিল"। কোন একদিন বাবা তার সন্তানকে সৎ মায়ের কাছে রেখে কোথাও চলে গেল। সেই সৎ মায়ের কিছু ফ্রেন্ড ছিল (সম্ভবত পরকীয়া প্রেমিক)। তারা এই বাচ্চাকে নিজেদের জন্য ঝামেলার কারণ মনে করলো। তারা আশংকা করলো, এই বাচ্চা তার বাবার কাছে তাদের কুকীর্তি প্রকাশ করে দিবে। এজন্য তারা পরামর্শ করে সেই মহিলার ৫ অথবা ৭ জন বন্ধু মিলে "আসিল"কে h.ত্যা করে ফেলে। এরপর তাকে একটি পরিত্যক্ত কূপে ফেলে দিয়ে আসে।
এরপর সেই সৎ মা নিজেই চিল্লাপাল্লা করে বলতে থাকে, আসিলকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সে আরও দুয়া করে-
"হে আল্লাহ! আপনি আসিলের h.ত্যাকারীর পরিচয় আমার কাছে গোপন রাইখেন না।"
তখন ইয়ালা ইবনে উমাইয়া রা. সেই হারানো বাচ্চার ব্যাপারে লোকদের মাঝে ঘোষণা দেন।
এর কিছুদিন পর এক ব্যক্তি সেই কূপের পাশ দিয়ে অতিক্রম করার সময় দেখতে পায়, কিছু মাছি কূপের মধ্যে প্রবেশ করছে, আর কিছু মাছি সেখান থেকে উঠে আসছে। এই দৃশ্য দেখে তার মনে সন্দেহ হয়। সে কূপের কাছে গিয়ে উঁকি মেরে দেখতে গেলে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ অনুভব করে। এরপর সে ওখান থেকে চলে এসে ইয়ালা ইবনে উমাইয়া রা. এর দরবারে উপস্থিত হয়ে পুরো ঘটনা খুলে বলেন।
ইয়ালা ইবনে উমাইয়া রা. ঘটনা শুনে লোকজন নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন। তখন h.ত্যাকাণ্ডে জড়িত সৎ মায়ের সেই ঘনিষ্ঠরাও সেখানে জড়ো হয়। জড়িতদেরই একজন বলে, আমাকে রশিতে বেঁধে নীচে নামাও। তখন তাকে রশিতে বেঁধে নীচে নামানো হলে সে লাশটি কূপের তলদেশের একটি সুড়ঙ্গ বা গর্তে লুকিয়ে রেখে উপরে উঠে এসে বলে, কূপের মধ্যে তো কিছুই নেই।
তখন আরেকজনকে রশিতে বেঁধে নীচে নামানো হয়। তখন সে "আসিলের" লাশ খুঁজে পায় এবং তা বের করে নিয়ে আসে। তখন হাতেনাতে ধরা খেয়ে সেই সৎ মা সহ অন্যান্য জড়িতরা সকলেই h.ত্যার কথা স্বীকার করে।
এই ঘটনার বিচার কার্য বাস্তবায়ন পদ্ধতি সম্পর্কে উমর রা. এর কাছে চিঠি মারফত জিজ্ঞেস করা হলে উমর রা. সকলকে h.ত্যার নির্দেশ দেন। এমনকি চিঠিতে তিনি বলেন:
"পুরো সানআবাসীও যদি এই h.ত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতো, তাহলে আমি তাদের সকলকেই h.ত্যা করতাম।"
সূত্র:
মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক গ্রন্থে হুবহু এভাবে বিস্তারিত এসেছে। ১৮০৭৭ নং হাদিস।
একই ঘটনা বুখারীতেও সংক্ষিপ্তভাবে এসেছে।
أَنَّ غُلاَمًا قُتِلَ غِيلَةً فَقَالَ عُمَرُ لَوْ اشْتَرَكَ فِيهَا أَهْلُ صَنْعَاءَ لَقَتَلْتُهُمْ
"একটি বালককে গোপনে h.ত্যা করা হয়। তখন উমর (রাঃ) বললেন, যদি গোটা সান’আবাসী এতে অংশ নিত তাহলে আমি তাদের সকলকেই h.ত্যা করতাম।"
(সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬৮৯৬)
এবার চিন্তা করুন আজ যদি উমর রা. বাংলাদেশে থাকতেন তাহলে তিনি কী বলতেন? তিনি কেমন ফয়সালা করতেন?
✍️ Masum Billah Hafi.