Postlar filtri


কখন যে কার কীভাবে হিদায়াত হয়ে যাবে, আর কখন যে কার কীভাবে হিদায়াত ছুটে যাবে—আমরা কেউ বলতে পারি না৷ তাই তাচ্ছিল্য কিংবা অহংবোধ, কোনোটাকেই জীবনে জায়গা দেবেন না।

11k 0 70 2.2k

মাঝে মাঝে কিছু মন খারাপের কারণ খুঁজে পাই না।

মন হয়তো খারাপ, কিন্তু জানিই না যে ঠিক কী কারণে মন এমন বিচ্ছিন্ন আর উদাস হয়ে আছে। পূর্বাপর সব ঘটনাগুলোতে চোখ বুলিয়েও কোন যুতসই কারণ বের করা যায় না।

এমন অ-কারণ মন খারাপের একটা কারণ হতে পারে সালাতের প্রতি আমাদের উদাসীনতা। আমরা আমাদের সালাতের ব্যাপারে যথেষ্ট যত্নশীল নই।


আপনি হয়তো বলবেন, 'কই, আমি তো সালাত ত্যাগ করি না ভাই। কিন্তু তা-ও কেনো আমার মাঝে মাঝে অ-কারণ মন খারাপ হয়?'


'সালাতে যত্নশীল হওয়া' বলতে আমরা যা বুঝি তা হচ্ছে— সালাত ত্যাগ না করা। কিন্তু, এটুকুই কেবল সালাতের ব্যাপারে যত্নশীল হওয়ার জন্যে যথেষ্ট নয়।


ঠিক সময়ে আমি সালাত আদায় করছি কি-না, সালাতে আমার খুশুখুযু তথা মনোযোগ ঠিকঠাক রাখতে পারছি কি-না এসবও সালাতের ব্যাপারে যত্নশীল হওয়ার অন্তর্ভুক্ত।


ফযরের ওয়াক্ত শেষ হয়ে এলো প্রায়। ঘড়িতে আর মিনিট পাঁচেক বাকি। তড়িঘড়ি করে উঠে আমি বুলেটের গতিতে ওযু করে জায়নামাজে দাঁড়ালাম৷ হাতে আমার সময় কেবল সাড়ে তিন মিনিট। সুন্নাহ তো বাদ-ই গেলো, এই তিন মিনিটে আমাকে শেষ করতে হবে দুই রাক'আত ফরয সালাত!

সাড়ে তিন মিনিট সময়ে দুই রাক'আত সালাত কতোখানি যত্ন আর আন্তরিকতার সাথে আদায় করা যায় ভাবুন তো!


এই ঘটনা যদি আমার নিত্যদিনের রুটিন হয়ে দাঁড়ায়, যদি আসর আর মাগরিবেও আমাকে এমন হুলস্থুল করে নিয়মিত সালাত আদায় করতে হয়, তাহলে সালাতের ব্যাপারে আমাকে জরুরিভাবে ভাবতে হবে বৈকি!


সালাতের সময় নিয়ে যদি আমাকে রোজ এভাবে দৌঁড়ঝাপ করতে হয়, তাহলে আমি সালাত-সমাপ্তকারী হবো বটে, আদায়কারী হয়ে উঠতে পারবো না।

হাসান আল বাসরী রাহিমাহুল্লাহর একটা সুন্দর উক্তি আছে৷ তিনি বলেছেন:


'যখনই আপনি আপনার সালাতকে ঠিক করতে পারবেন, দেখবেন আপনার জীবনটাও ঠিক হতে শুরু করেছে। যদি আপনার মনে হয়— কেনো আপনার রিযক সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে, কেনো আপনার বিয়ে হতে দেরি হচ্ছে, কেনো আপনার কাজে বারাকাহ কমে যাচ্ছে, কেনো দিন দিন খারাপ হচ্ছে আপনার স্বাস্থ্য, তাহলে আপনাকে বলবো আপনার সালাতের দিকে নজর দিন। দেখুন তো— সালাত আদায়ে আপনি দেরি করেন না তো?'


আমার অ-কারণ মন খারাপের কারণ হয়তো এখানেই যে— যথার্থ সময়ে এবং যথাযথ ভাবে আমি সালাত আদায় করতে ব্যর্থ হচ্ছি।


কমেন্ট অপশান বন্ধ রাখা হলো


আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ’আরিফ আজাদ’ টেলিগ্রাম চ্যানেল খোলার পর থেকে আমরা উন্মুক্ত আলোচনার জন্য কমেন্ট করার অপশন রেখেছিলাম যাতে পাঠক-লেখকের একটা সরাসরি ইন্টেরেকশান তৈরি হয়।

কিন্তু মুশকিল হলো, এখানে অনেক বোনেরাও কমেন্ট করেন। তাতে সমস্যা ছিল না৷ সমস্যা হলো—এখানে কমেন্ট করলে টেলিগ্রাম আইডি শো করে এবং যেকেউ ইচ্ছা করলে তার প্রাইভেট প্রোফাইলে গিয়ে তাকে ম্যাসেজ করতে পারে। আরো মুশকিলের ব্যাপার হলো—ফেইসবুকের মতো সেই ম্যাসেজ ফিল্টার হয়েও আসে না। ইউজারের প্রোফাইলে সরাসরি চলে আসে।

এতে করে অসাধু ব্যক্তিদের দ্বারা বোনদের হ্যারাসমেন্টের একটা সম্ভাবনা থেকেই যায়।

নানাবিধ বিষয় মাথায় রেখে আমরা এখানে কমেন্ট করার অপশন বন্ধ রাখলাম।

সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ। জাযাকুমুল্লাহ আহসানাল জা’যা।


আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার একটি পবিত্র নাম হলো আল গাফুর।

মোনাজাতে আমরা আল্লাহকে ‘ইয়া আল গাফুর’ বলে ডাকি, কিন্তু কখনো কি ভেবেছি—আল্লাহর এই পবিত্র নামটা আসলে কোন বিশেষ অর্থ বহন করে?

আরবি ‘আল-গাফুর’ শব্দটার মূল উৎস শব্দ হলো গফারা (غ-ف-ر) যার অর্থ হলো কোনোকিছু লুকিয়ে ফেলা, ঢেকে দেওয়া, আচ্ছাদিত করা।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বান্দার গুনাহসমূহ গোপন রাখেন। বান্দা নিজের ভুলে যদি নিজের গুনাহকে প্রকাশ করে না ফেলে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা সেগুলোকে প্রকাশ্যে আনেন না।

তিনি আমাদের দিনের বেলার গুনাহের কথা জানেন। তিনি আমাদের রাতের বেলার গুনাহের কথাও জানেন। তিনি আমাদের প্রকাশ্য গুনাহের কথা জানেন। আমাদের অপ্রকাশ্য গুনাহের কথাও তিনি জানেন।

যদি আল্লাহ চাইতেন, আমাদের গুনাহের তালিকা আমাদের কপালে ভেসে উঠতে পারতো। যদি তিনি ইচ্ছা করতেন, গুনাহের কারণে আমাদের শরীর থেকে গন্ধও বের করতে পারতেন।

এমন যদি হতো, আমাদের দ্বারা কি সম্ভব হতো বেঁচে থাকা?

কিন্তু আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা এমনটা হতে দেন না৷ তিনি বান্দার গুনাহগুলোকে ঢেকে দেন, লুকিয়ে ফেলেন, আচ্ছাদিত করে দেন বলে তিনি হলেন—আল গাফুর।


আমাদের গুনাহ আল্লাহ প্রকাশ করে দেন না, এটাও আল্লাহর এক বিরাট দয়া আর রহমত বান্দার প্রতি।

25.6k 0 35 28 1.3k

Sukun Publishing dan repost
কুয়াশায় ঢাকা শীতের দিনগুলো শুরু হয়েছে ইতোমধ্যেই।

রাতগুলো হয়েছে বেশ দীর্ঘ। এমন দীর্ঘ রাতে, হালকা চেষ্টা করলে পর্যাপ্ত ঘুমিয়ে শেষ রাতে উঠে কিয়ামুল লাইল বা তাহাজ্জুদ আদায় করা যায়।

শীতকালের এই সুবর্ণ সুযোগের কারণেই, আল্লাহর রাসুল সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শীতকালকে মুমিনদের জন্য ‘বসন্তকাল’ বলে উল্লেখ করেছেন।

বইটিতে রয়েছে নবি-রাসুল, উম্মাহাতুল মুমিনীন, সাহাবি, তাবেয়ি এবং তাবে-তাবেয়িগণ সহ, অনেক ইমাম, মুহাদ্দিস, মুফাসসিরদের জীবন থেকে নেওয়া তাহাজ্জুদের ঘটনাবলী। এসকল ঘটনা তাহাজ্জুদে জাগতে আমাদেরকে দারুনভাবে উদ্দীপ্ত করতে পারে, ইনশা আল্লাহ।

উপকারি এই বইটি পড়বার জন্য তাঁর পাঠকদের উৎসাহিত করেছিলেন পাঠকনন্দিত লেখক আরিফ আজাদ ভাইয়াও।

প্রিয় পাঠক, এই শীতে ‘যেমন ছিল বড়দের তাহাজ্জুদ’ বইটি হয়ে উঠুক আপনার পড়া এবং তার উপর আমল করা সেরা বই।

অর্ডার করতে কিংবা বিস্তারিত তথ্য জানতে ভিজিট করুন - https://sukunpublishing.com/book/jemon-cilo-boroder-tahajjud/

29.1k 0 23 22 753

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার এক নাম হলো—আল ক্বারিব। আল ক্বারিব নামের অর্থ হলো—অধিকতর নিকটবর্তী।

কুরআনে আল্লাহ বলেছেন যে—ঘাঁড়ের শাহী রগ, যে রগটা মস্তিষ্কের সাথে পুরো শরীরের সংযোগ মাধ্যম হিশেবে কাজ করে, সেই রগের চাইতেও আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বান্দার নিকটে থাকেন।


আমাদের রব আমাদের এতো নিকটবর্তী, কিন্তু আমাদের জীবনপদ্ধতি দেখলে কে বলবে যে—রবের এই নিকটবর্তী থাকাটাকে আদৌ আমরা উপলব্ধি করি?

27.4k 0 51 37 1.8k

‘জয় শ্রী রাম’ একটা পলিটিক্যাল স্লোগান যা গুজরাটের কসাই খ্যাত মোদির দল ব্যবহার করে। ওই দেশের লোকজনও জানে যে এটা একটা রাজনৈতিক স্লোগান, এরসাথে রামের ধর্মীয় মর্যাদা সেভাবে জড়িত নাই।

কিছুদিন আগেই, সম্ভবত নির্বাচনের পর পর, সে দেশের সংসদে রাহুল গান্ধী কথা বলতে উঠা মাত্র মোদির দলের নেতারা তাকে উদ্দেশ্য করে ‘জয় শ্রী রাম’ বলে স্লোগান দেওয়া শুরু করে। তাদের স্লোগানের বিপরীতে রাহুল বললো, ‘জয় সংবিধান’।

এতে কি রাহুল ধর্ম অবমাননা করেছে? রাহুল তো জানে এটা বিজেপির স্লোগান, হিন্দু ধর্মের কোনো স্লোগান নয়।

ওই দেশের হিন্দুরা বুঝে স্লোগানটা কার৷ সরকারি দলও বুঝে, বিরোধি দলও বুঝে জয় শ্রী রাম কারা বলে, কেন বলে।

তবে, শুধু বুঝে না আমাদের দেশের কিউট সেক্যুলার, হেভিওয়েট প্রগতিশীল আর সরলমনা (তারা নিজেদের যা ভাবে আর কী) হিন্দুরা।

40.3k 2 31 40 1.5k

মনে যখন এই বিশ্বাস গেঁথে নিবেন যে—যা কিচ্ছু হয়েছে, হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে হবে তার সবটাই আল্লাহর পরিকল্পনা, আপনার জন্য নির্ধারিত তাকদির, তখন দেখবেন—নিজেকে বা অন্যকে দোষারোপ করার মানসিকতা অনেকটাই কমে আসবে।

আপনার জন্য যা লেখা আছে তা-ই ঘটবে। একবিন্দু হেরফের কোথাও হবে না৷

সুতরাং, নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টাটুকু করুন, তারপর অপেক্ষা করুন আল্লাহর ফয়সালার৷ তিনি যে ফলাফলই দেন, সেটা সন্তুষ্টচিত্তে গ্রহণ করুন।

39.2k 0 103 48 1.9k

একই মসজিদে গত জুমুয়াহ পড়েছি আমরা। এই জুমুয়াহতে তিনি হয়ে গেলেন কবরের বাসিন্দা।

এই জুমুয়াতে আমরা যারা ছিলাম, আগামি জুমুয়াহতে থাকবো তো?

48.8k 0 24 41 1.9k

‘লোকদের যেসব কাজ করতে দেখলে অপছন্দ করবে, একাকী অবস্থায় তুমি নিজে সেই কাজে ডুবে যেও না’।

— মুহাম্মাদ সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সিলসিলাহ আহাদিস সহীহাহ, ৩/৪৩

48.1k 0 80 47 2.1k

শীত শুরু হয়েছে৷ দিনগুলো ছোট হয়ে এসেছে, রাতগুলো দীর্ঘ হয়েছে আগের তুলনায়।

শীত ঋতুটাকে আল্লাহর রাসুল সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুমিনের বসন্তকাল বলে উল্লেখ করেছিলেন। কারণ—


শীতকালে দিনগুলো তুলনামূলক ছোট হওয়ায় সিয়াম রাখা সহজ হয়৷ ক্লান্তি আর কষ্ট লাগে না।

শীতকালে রাতগুলো তুলনামূলক দীর্ঘ হওয়ায় পর্যাপ্ত ঘুমিয়ে, শেষ রাতে কিয়ামুল লাইলের জন্য জাগা সহজ হয়৷ পর্যাপ্ত ঘুমাতে পারার কারণে ঘুম থেকে কোনো ক্লান্তি শরীরে ভর করে না।


শীত তো উপস্থিত৷ রাখছেন তো আপনার প্রস্তুতি?

42k 0 62 77 2.3k

সুন্দরভাবে আল্লাহর কাছে চাইতে না পারার কারণে নয়, অনেকসময় আপনার অনেক দোয়া কবুল হয় না আপনার গোনাহর কারণেও।

43.8k 0 65 48 2.6k

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা কতো অসীম দয়ালু, সেটা কুরআনের পাতায় পাতায় পাওয়া যায়।

হাদিসে পাওয়া যায়, আল্লাহ তাঁর দয়াকে একশো ভাগে ভাগ করেছেন৷ তন্মধ্যে শুধু একভাগ দয়া উনি সমস্ত সৃষ্টিরাজির মধ্যে বন্টন করে দিয়েছেন৷ ওই এক ভাগের বদৌলতেই মা তার সন্তানকে ভালোবাসে। জীবজন্তু তাদের সন্তানাদির প্রতি মায়া দেখায়।

শুধু এক ভাগ দয়ার কারণে যদি সৃষ্টিজগত একে অন্যের প্রতি এতোটা দয়াদ্র হয়, যে নিরাব্বই ভাগ দয়া আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা নিজের জন্য রেখে দিয়েছেন, তাঁর দয়ার সীমানাটা তাহলে কেমন চিন্তা করে কূলানো সম্ভব?

সেই পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা কুরআনে স্পষ্ট ঘোষণা করেছেন—বান্দার সকল গুনাহ তিনি ক্ষমা করে দিতে রাজি, শুধু শিরকের গুনাহ ছাড়া।

এতো দয়া আর ক্ষমার আধার যিনি, যিনি সমস্ত গুনাহকে ক্ষমা করে দেবেন বলে ঘোষণা করেন, তিনি কেন এটাও স্পষ্ট বলে দেন যে—শিরকের গুনাহ তিনি ক্ষমা করবেন না?

আপনার কি একবারও মনে হয়েছে, সেই মহান রব কেন শিরকের গুনাহকে অমার্জনীয় অপরাধ হিশেবে রেখে দিয়েছেন?

কারণ, শিরক সরাসরি আল্লাহর একত্ববাদকে আঘাত করে। বান্দার কৃত আর কোনো অপরাধ এতোটা সীমালঙ্ঘন করে না, যতোটা শিরক করে। আল্লাহ সবকিছু ক্ষমা করবেন, সবকিছু মেনে নিবেন, কিন্তু অন্য কাউকে তাঁর সমকক্ষ বানালে সেই অপরাধ তিনি ক্ষমা করবেন না।

আল্লাহকে বাদ দিয়ে বা আল্লাহর পাশাপাশি অন্য কাউকে ডাকা, অন্য কারো কাছে নিজের মস্তক সঁপে দেওয়াকে আল্লাহ ঘৃণা করেছেন। যুগে যুগে যতো নবি আর রাসুল দুনিয়ায় এসেছেন, তাদের সকলের দাওয়াতের মূল দাবিই ছিল এটা—তাওহিদ তথা একত্ববাদ৷ আল্লাহ ব্যতীত অন্য সকল ইলাহ মিথ্যা৷ আল্লাহ ছাড়া অন্য সকল উপাস্য ত্যাজ্য।

যে জিনিসটাকে আমাদের রব স্বয়ং ঘৃণা করেন, যে জিনিসটাকে আল্লাহর নবি রাসুলেরা ঘৃণা করেছেন, সেই জিনিসটাকে অন্তর থেকে ঘৃণা করা আমাদেরও ঈমানের দাবি।

আল্লাহ কিন্তু শিরককে ঘৃণা করেন, কিন্তু কোনো মুশরিকের জন্য তিনি সূর্যের আলো, বৃষ্টির পানি, বাতাসের অক্সিজেন বন্ধ করে দেন না। তিনি তাদেরকেও রিযিক দেন। তাদের জীবিকারও বন্দোবস্ত করেন।

কারণ, তিনি ‘আর রহমান’। সমস্ত সৃষ্টিকূলের ওপরে তিনি দয়াদ্র। সে যতো পাপী, তাপী, সীমালঙ্ঘনকারীই হোক—তাকে তিনি বঞ্চিত করেন না। তার সাথে হিশেবাদি তিনি চুকোবেন আখিরাতে, কিন্তু দুনিয়ার জীবনে তার চেষ্টার ফল, তার পরিশ্রমের বিনিময় তিনি প্রদান করেন।

যারা শিরক করে তাদের সাথে আমাদের সম্প্রীতি থাকবে৷ সম্প্রীতি মানে আমাদের দ্বারা তাদের কোনো ক্ষতি হবে না। সম্প্রীতি মানে তাদের স্বাভাবিক জীবন আমাদের জন্য কঠিন হয়ে উঠবে না৷ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা যেমন তাদেরকে আলো, হাওয়া, অক্সিজেন থেকে বঞ্চিত করেন না, আমরাও তাদেরকে তাদের মৌলিক অধিকার, ধর্ম পালনের অধিকার, নিরাপদে বেঁচে থাকার অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারি না।

কিন্তু, সম্প্রীতির নামে তাদের সংস্কৃতির মাঝে নিজেদের ডুবিয়ে ফেলা, তারা যে শিরক করে সেই শিরকের মধ্যে নিজেদেরকেও অন্তর্ভুক্ত করে ফেলা—সেটা যেকোনোভাবেই হোক, তারা যে শিরক করে সেই শিরককে নিজের জন্য ঘৃণা না করা, এসব স্পষ্ট বিচ্যুতি।

‘আমরা আল্লাহর রঙ গ্রহণ করেছি। আর, আল্লাহ অপেক্ষা কার রঙ অধিক সুন্দর? আমরা তাঁরই ইবাদাতকারী’— আল বাকারা, ১৩৮

48.3k 0 48 18 1.2k

জীবনের আনন্দঘন মুহূর্তগুলোতে, স্বাপ্নিক সুখের সময়গুলোতে আপনার কি আল্লাহর কথা বেশি বেশি মনে পড়ে? খুব মন চায় আল্লাহর কাছে বারংবার কৃতজ্ঞতা জানাতে? বাড়তি সালাত আদায় করতে? বাড়তি সাদাকা করতে?

যদি উত্তর ‘হ্যাঁ’ হয়, তাহলে অভিনন্দন। আল্লাহর সাথে আপনার সম্পর্কটা অনন্য মাত্রায় পৌঁছেছে।

31.1k 0 51 42 2.1k

সুনান ইবন মাজাহ এর একটা হাদিসে পাওয়া যায়,

একবার আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহার কাছে একজন মহিলা তার দুই মেয়েকে সাথে নিয়ে আসলেন। আম্মাজান আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা মহিলার হাতে তিনটি খেঁজুর দিলেন যাতে তারা তিনজন খেতে পারে।

তিনটি খেঁজুর থেকে মহিলা তার দুই মেয়ের হাতে দুইটি খেঁজুর দিলেন এবং একটা রাখলেন নিজে খাওয়ার জন্য।

মেয়েরা নিজেদের ভাগে পাওয়া খেঁজুর দুটো খেয়ে আবার খেঁজুর চাইলে, নিজের জন্য রাখা খেঁজুরটা দুই ভাগ করে মহিলা তার দুই মেয়ের মাঝে সমানভাবে ভাগ করে দেন।

এই ঘটনাটা আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে বিস্মিত করে এবং নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে ফিরলে তাঁকে ঘটনাটা জানান।

ঘটনা শুনে আল্লাহর রাসূল সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘অবাক হচ্ছো কেন? এই কাজটার জন্য উক্ত মহিলা জান্নাতে প্রবেশ করবে’।


কতো ছোট ছোট কাজের বিনিময়েই যে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বান্দাদের জান্নাত দিয়ে দেন! আল্লাহু আকবার!


একটা খেঁজুর নিজে না খেয়ে, নিজের আপন বাচ্চাদের মাঝে ভাগ করে দিয়েছে। শুধু এতোটুকুই। একজন মা তার নিজের সন্তানের প্রতি দয়া দেখিয়েছে। শুধু একটা ছোট্ট খেঁজুর নিজে না খেয়ে বাচ্চাদের খেয়ে দিয়েছে—এতোটুকুই।

তাহলে, যারা নিজের সবটুকু দিয়ে বাবা-মা’র সেবাযত্ন করে, যারা সর্বোচ্চটুকু দিয়ে ভাই-বোন আর  আত্মীয়স্বজনের হক আদায় করে, যারা প্রতিবেশির হক আদায়ে সর্বোচ্চ সতর্ক, তাদের বিনিময়টা কতো বিশাল হবে?

বিপদে, আপদে, দূর্যোগ দূর্ভোগের সময়ে যারা মানুষকে সাহায্য করার জন্য ছুটে যায়, বন্ধুর বিপদে যারা সহযোগিতার হাত বাড়ায়, যারা মানুষের মাঝে দ্বন্ধ দূর সম্পর্ক জোড়া লাগায়, যারা ভালো কাজের উৎসাহ দেয় আর মন্দ কাজ হতে মানুষকে বিরত থাকার আহ্বান জানায় জীবনভর—তাদের বিনিময় কেমন হবে?

একটা ছোট্ট খেঁজুরের বিনিময়ে যেখানে জান্নাত পাওয়া যায়, দুনিয়ার কোন সে প্রতিবন্ধকতা যা আপনাকে এই জান্নাত লাভ থেকে দূরে সরিয়ে রাখছে?
.

রেফারেন্স:
(১) সুনান ইবন মাজাহ, ৩৬৬৮

38.5k 0 82 54 1.7k

অস্থিরতা এসে ভর করলে, জীবনটাকে ভীষণ উদ্দেশ্যহীন মনে হলে সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রলিং করবেন না। সোশ্যাল মিডিয়াগুলো এমনভাবে ইঞ্জিনিয়ারিং করা যে এগুলো আপনার মস্তিষ্কের ডোপামিন খরচ করে সাময়িক বিনোদনের বিনিময়ে আপনাকে আরো বেশি অস্থির আর উদ্দেশ্যহীন করে রাখবে।

সোশ্যাল মিডিয়ার চাইতে বড় কোনো ডিস্ট্রাকশান সৃষ্টিকারী টুলস প্রযুক্তি তৈরি করতে পারেনি।

জীবনের অস্থির আর উদ্দেশ্যহীন সময়গুলোতে বেশি করে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার কাছে ফিরে যান। জায়নামাযে সময় কাটান বেশি। যিকিরে নিমগ্ন হোন এবং বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করুন, কুরআনের অনুবাদ পড়ুন কিংবা বেশি বেশি তিলাওয়াত শুনুন।

37.3k 0 165 77 2.2k

আমাদের স্বপ্নের সবটা জুড়েই থাকে আমাদের সন্তানেরা। তাদের হাঁটি হাঁটি, পা পা করে হাঁটতে শেখার সাথে সাথে, তাদের আধো আধো বোল আর হেসে কুটি কুটি হওয়ার সাথে সাথে বেড়ে উঠে আমাদের স্বপ্নগুলোও।


বাবা-মা সন্তানকে ভালোবেসে সবচেয়ে ভালো যে উপহারটা দিতে পারে তা হলো—দ্বীনের বুনিয়াদি জ্ঞান শিক্ষা।

আর, এই বুনিয়াদি জ্ঞান লাভের সবচেয়ে উত্তম উৎস হলো ভালো বই।


আমার লেখা ‘পবিত্র মাসজিদের গল্প’ ঠিক এরকমই একটা সিরিজ। ছোটরা এই সিরিজ থেকে ইসলামের বুনিয়াদি বিশ্বাস আর ইতিহাসের হাতেখড়ি পাবে।


আলহামদুলিল্লাহ, সিরিজটি দেশের সর্বত্র পাওয়া যাচ্ছে। সিরিজটির অর্ডার লিঙ্ক— https://sukunpublishing.com/step/pobitro-masjider-golpo/

37.7k 0 37 42 771

আপনি যদি ৭৫ বছরের হায়াত পান, তাহলে সাকুল্যে আপনি বেঁচে থাকবেন— ৩৬০০ টি সপ্তাহ।

আবারও পড়ুন— ৩৬০০ টি সপ্তাহ!!


এখন ভাবুন তো, আমাদের প্রতিটা সপ্তাহ কতো অবলীলায়, অবহেলা আর অযত্নে কেটে যায়।

একটা সপ্তাহ পার হয় মানে, ৩৬০০ সপ্তাহ থেকে একটা সপ্তাহ বিয়োগ হয়।


আপনার বয়স যদি এখন ৩০ বছর হয়, আর যদি ধরে নিই যে আপনি ৭৫ বছরের হায়াত পাবেন, তাহলে দুনিয়ায় আপনি আর বেঁচে থাকবেন কেবল ২১৬০ সপ্তাহ।


গত জুমুয়াহ পড়েছি মনে হয় দুই দিনও পার হয়নি৷ অথচ আরেকটা জুমুয়াহ দরোজায় এসে উপস্থিত৷ কতো দ্রুত ফুরোচ্ছে হায়াতের দিন। এটাও কিয়ামতের আলামত, যে—শেষ সময়ে সময়গুলো দ্রুত ফুরোবে। চোখের পলকে।


গত এক সপ্তাহে আমাদের আমলের পাল্লায়, কাজের পাল্লায়, শেখার পাল্লায়, সম্পর্ক উন্নয়নের পাল্লায় কী কী যোগ হলো, নাকি আগেও যা ছিল তাতেই স্থির হয়ে আছি আমরা, চলুন ভাবতে বসি।

40.3k 0 107 57 2k

সিদ্ধান্তসমূহ নেওয়ার আগে কিংবা নেওয়ার পর আমরা যদি ইস্তিখারার সালাত পড়ে আল্লাহর কাছে এভাবে চাইতে পারি, তাহলে আশা করা যায় আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আমাদের সিদ্ধান্তগুলোকে কল্যাণকর করে দেবেন। কোনো অকল্যাণ থাকলে তা দূর করে দেবেন। অথবা—সেই অকল্যাণের দ্বারা আমাদের বড় কোনো ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আগেই তিনি আমাদের তা থেকে বাঁচিয়ে নেবেন।


ইউটিউবে পাবলিশ হওয়া ভিডিও - https://youtu.be/PqKm7VfyF_0

39.9k 0 113 47 769

'গোটা সৃষ্টিজগতে এমন একটা বিন্দু, এমন একটা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বস্তুকণা নেই যা তাঁর দৃষ্টির অন্তরালে। সাগরের বুকে তৈরি হওয়া একটা ছোট্ট ঢেউ, সেই ঢেউয়ের আরো ভিতরে তৈরি হওয়া কম্পন, সেই কম্পনে ছিঁটকে যাওয়া একবিন্দু জল— সেই ঘটনাচিত্রও আল্লাহর দৃষ্টির আড়াল হতে পারে না।

গভীর সাগরতলে যে ক্ষুদ্র নুড়িকণা, সেই নুড়িকণার নিচে তার চেয়েও ক্ষুদ্র যে প্রাণী, সেই প্রাণীর গায়ে থাকা তারচেয়েও ক্ষুদ্র বালিকণা— সেটাও আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া'তায়ালা দেখেন।

ঘন গহীন অরণ্য, যেখানে আজতক কোন মানুষের পদচিহ্ন পড়েনি, গাছেদের ডালপালার ঘনত্বকে ফুঁড়ে যেখানে পৌঁছাতে পারে না সূর্যের প্রখর রশ্মি, প্রকাশ্য দিবালোকেও অন্ধকারে ডুবে থাকা সেই জঙ্গলের একেবারে অবহেলিত কোণে বেড়ে উঠা একটা ছোট্ট আগাছা, যার ডগায় আজ নতুন একটা কুঁড়ি বের হয়েছে, যে কুঁড়ির সন্ধান হয়তো কোনোদিন কোন মৌমাছি পাবে না, যে কুড়ি থেকে প্রস্ফুটিত ফুলে কোনোদিন বসবে না কোন প্রজাপতি— সেই অজানা, অবহেলিত ফুলও আল্লাহর দৃষ্টির অন্তরালে নেই।


—‘কুরআন থেকে নেওয়া জীবনের পাঠ’ বই থেকে।

39.9k 0 25 46 1.1k
20 ta oxirgi post ko‘rsatilgan.