কলমে ললিতা


Channel's geo and language: India, Bengali
Category: Religion


ঁ হে ঠাকুর, তোমার শ্রীচরণে নিবেদন করি আমৃত্যু তোমাতে, আর তোমায় নিয়ে থাকতে পারি সেটুকু কৃপা করে দেখো।

Related channels

Channel's geo and language
India, Bengali
Category
Religion
Statistics
Posts filter










https://youtu.be/GFIxsUziZA0?si=hldseEXgGwAtcLXt

https://youtu.be/GFIxsUziZA0?si=CKNOIiHIMD3QrdBW
যেদেশের একজন রাজনৈতিক নেতা তথা ব্যারিস্টার এতো হিন্দু বিদ্বেষী ও ভারত বিদ্বেষী তাহলে সেই দেশের মূর্খ জনগন তো ভারতদ্বেষী হবেই এটাই স্বাভাবিক। তবে দেখার ব্যাপার ঘটছে- বাংলাদেশে বেশ কয়েকজন রিক্সাচালক দেশের ভবিষ্যৎ ও ভাগ্যাকাশে কি ঘটতে চলেছে ঠিক ০ঠাক বুঝতে পারছে।
*মূর্খ ও দুর্নীতিবাজরা হাঁকডাক একটু বেশী করে তাই পতাকা নিয়ে এই বাঁদরামিটা করে দেশের মধ্যে খুব বীর সাজতে চাইছে একবার সত্যিকারের বীরত্বটা আমার দেশের উপর দাঁড়িয়ে করুক দেখবো পাঁজরে কয়েকখানা হাড় নিয়ে নিজের দেশে ফেরত যায় দুর্বলের দপদপানি কোন্ হোমযজ্ঞে লাগে না নিজের ক্ষতি ছাড়া।




https://youtu.be/GFIxsUziZA0?si=hldseEXgGwAtcLXt

https://youtu.be/GFIxsUziZA0?si=CKNOIiHIMD3QrdBW
যেদেশের একজন রাজনৈতিক নেতা তথা ব্যারিস্টার এতো হিন্দু বিদ্বেষী ও ভারত বিদ্বেষী তাহলে সেই দেশের মূর্খ জনগন তো ভারতদ্বেষী হবেই এটাই স্বাভাবিক। তবে দেখার ব্যাপার ঘটছে- বাংলাদেশে বেশ কয়েকজন রিক্সাচালক দেশের ভবিষ্যৎ ও ভাগ্যাকাশে কি ঘটতে চলেছে ঠিক ০ঠাক বুঝতে পারছে।
*মূর্খ ও দুর্নীতিবাজরা হাঁকডাক একটু বেশী করে তাই পতাকা নিয়ে এই বাঁদরামিটা করে দেশের মধ্যে খুব বীর সাজতে চাইছে একবার সত্যিকারের বীরত্বটা আমার দেশের উপর দাঁড়িয়ে করুক দেখবো পাঁজরে কয়েকখানা হাড় নিয়ে নিজের দেশে ফেরত যায় দুর্বলের দপদপানি কোন্ হোমযজ্ঞে লাগে না নিজের ক্ষতি ছাড়া।


চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ , দেখুন
https://youtube.com/watch?v=GFIxsUziZA0&si=PTOss8BKQ27wB79E




অনুগ্রহ করে পড়বেন পিডিএফ দিলাম


DOC-20241202-WA0006.
8.9Mb
Document from Lalita Chatterjee








🌺 প্রশ্ন একটি শব্দ যখন উচ্চারণ করি তখন কি শব্দের মানেটা অন্তরে ভেসে উঠে তারপর শব্দ তৈরি হয়। যেমন "জল "। ঐ পদার্থটাকে জল নাম দিলাম কিন্তু ঐএকই পদার্থ বৃষ্টির মধ্যেও থাকে, বরফেও থাকে। সেক্ষেত্রে আলাদা নাম। কি থিওরি তে এগুলো হয়েছিল - চিত্রলিপি থেকে অক্ষর বা বর্ণশব্দ তৈরীর সময়???

🌺 উত্তর ( পূজ্যপাদ তদ্রুপানন্দজী মহারাজ)

🌺 ভাব,,,এই ভাব'ই হলো প্রধান,,,। প্রথমে বস্তু'র প্রয়োজন বা চাহিদা এবং বস্তু'র সঙ্গে আমার সম্বন্ধ বিষয়ক ভাব'টি অনুমিত বিচারে আসে,,, তারপর অনুমান বা কল্পনা নির্ভর অনুভূতি'তে আসে,,,তারপর বস্তু'র চরিত্র বা/এবং কার্যকারিতা বা/এবং রূপ অনুযায়ী তার নামকরণ হয়,,,তখন আসে শব্দ,,,।
কাজেই শব্দ পরে আসে,,,। শব্দ এসে গেলো মানে'ই প্রকাশ হলো বা ব্যক্ত হলো,,,। তার আগেও সে ছিল,,,কিন্তু অব্যক্ত অবস্থা'য় ছিল,,,। সব ক্ষেত্রে'ই এই এক'ই নিয়ম,,,।
ঠিক এই এক'ই পদ্ধতিতে'ই বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার গুলো হয়ে চলেছে,,,অর্থাৎ আমাদের অজ্ঞানতা জনিত আবরণ সরে গিয়ে,,,পূর্ব থেকে'ই অব্যক্ত অবস্থা'য় বর্তমান থাকা বস্তু,,,আমাদের কাছে ব্যক্ত হয়ে পড়ছে,,,। আর তার ফলে তার নামকরণ হয়ে,,,একটা ব্যবহারিক শব্দরূপ তৈরী হচ্ছে,,,।
অনেক ক্ষেত্রে'ই বস্তু'র পূর্ণরূপে ব্যক্ত হবার আগে'ই,,,অনুমানে তার রূপ এবং ব্যবহার কল্পিত হয়ে,,,নামকরণও হয়ে গিয়ে থাকে,,,। সেক্ষেত্রেও শব্দের আগমন পরে ঘটছে,,,।ঠিক,,,।

🌺একটা প্রশ্নের ভিতর পুরো আধ্যাত্মিক দর্শন ভরা !!!!!! সেই জন্যই কি বলে জগতের সবকিছুই ঁতাঁর সৃষ্টি। বিজ্ঞানীরা তাকে আবিষ্কার করে (খুঁজে বার করে) মাত্র ।

🌺 ঠিক।


*রামকৃষ্ণ ও তাঁর শিষ্যগণ - ক্রিস্টোফার ইশারউড,, অনুবাদ - রবিশেখর সেনগুপ্ত*

(৪র্থ পর্ব)


এসব হলো আজকের কথা। কিন্তু আমার আলোচনার বিষয় ১৮৩৬ সালের কামারপুকুর।, যে বাঞ্ছিত বছরটিতে রামকৃষ্ণ জন্মালেন ।সেই সময় অর্থাৎ ১৮৩৬ কামারপুকুর ঠিক কয়েক বিষয়ে অন্তত আজকের চেয়ে সেদিনের কামারপুকুর অনেক উন্নত ছিল। জনসংখ্যা
বাড়লেও খাদ্য ছিল পর্যাপ্ত ; গোলায়-গোলায় ধান ছিল, তাই গ্রামের মানুষ খেয়ে-পরে
বাঁচতো। শেষ যে মহামারী হয় তার ষাট বছর পেরিয়ে গেছে। এই মহামারীতেই বাংলা-
দেশের জনসংখ্যার একতৃতীয়াংশ মানুষ সেদিন নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। সাধারণভাবে স্বাস্থ্যবান
হলেও ১৮৬৭ সালের ম্যালেরিয়া মহামারীর পর থেকেই গ্রামবাসীদের ব্যাপক স্বাস্থ্যহানি
ঘটতে থাকে ।
চাষের কাজ ছাড়াও ছোট-ছোট হাতের কাজ, যেমন মিষ্টান্ন পাক, আবলুস কাঠের হুঁকার
নল তৈরির কাজ, এসবও জানতো। ঘরে-ঘরে তাঁত ছিল। সেখানে হাতে-বোনা ধুতি
গামছা বিক্রির জন্যে চালান যেতো সুদূর কলকাতায় । গ্রামের গা ঘেঁষে একটা রাস্তা
চলে গেছে পুরী জগন্নাথধাম পর্যন্ত। রেল যোগাযোগের আগে কলকাতা থেকে জগন্নাথধাম
যাবার এটিই ছিল একমাত্র সড়কপথ । এই পথের তীর্থযাত্রী ভক্তেরাই সেদিন কামারপুকুর
বাজারের সম্ভাব্য ক্রেতা ছিল ।
শুধু, গোলায়-গোলায় ধান নয় গ্রামের মানুষের গলায়-গলায় গানও ছিল ; মোটামুটি
সুখী ছিল তাদের জীবন। দারিদ্র্য ছিল, তবে এই আপেক্ষিক দুষ্ট ব্যাধির দায় সমাজের
সব শ্রেণীর মানুষ ভাগ করে নিয়েছিল। ফলে সকলের মিলিত সাহায্যে দারিদ্র্য বহু-
ব্যাপক হয়ে উঠতে পারে নি । এইভাবে কামারপুকুরের সমাজ আধুনিক সমাজবিজ্ঞানের
এক গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা মিটিয়েছিল। জাতি কাঠামোয় স্ত্রী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের
একটা নির্দিষ্ট ঠাঁই ছিল । কেউ অবহেলিত বোধ করে নি। দূর হ'ক নিকট হ’ক, সব
আত্মীয়ই গোটা পরিবারের অন্তর্ভুক্ত ছিল। বয়োজ্যেষ্ঠরা গণ্যমান্য ছিলেন । মহিলারা
ছিলেন সম্মানিত। শিশুরা ছিল সকলের কাছেই সমান আদরণীয়। ব্যক্তিত্ব বিচারের
সময় আমরা রামকৃষ্ণের মধ্যেও সরল নিষ্পাপ গ্রাম্য শিশু ভাবের এক পরমানন্দ প্রকাশ
পরবর্তীকালে দেখবো। অপার মাতৃস্নেহ-নির্ভর এই শিশু, তার জীবনের শুরু থেকেই
নিশ্চিতভাবে সকলের ভালবাসা পেয়ে এসেছে। বাল্যাবস্থা থেকে কোনো ব্যর্থতার গ্লানিই
তাঁকে কখনও স্পর্শ করে নি। তাই কোনো পরম্পর বিরোধিতা কিংবা অসুস্থ মানসিকতার
উদয় তাঁর চরিত্রে কখনও হয় নি । পরবর্তীকালে রামকৃষ্ণের জীবনের মনস্তাত্ত্বিক দিকের
আলোচনার সময় আমাদের এই কথাটি মনে রাখতে হবে ।
*যদি বলি যে, জাতিপ্রথা মেনে নিয়ে সেদিন গ্রামবাসীর অধিকারবোধ সুদৃঢ় হয়েছিল,
তাহলে আমার উক্তি আপনাদের কাছে অসঙ্গতি দোষ-দুষ্ট বলে মনে হতে পারে । কারণ,
জাতিপ্রথা মেনে নেবার অর্থই হলো-শ্রেণীবিশেষকে জাতি-কাঠামোর বাইরে রাখার ঝোঁক।কিন্তু জাতিপ্রথা বর্জনকর প্রথা নয় ; বরং বলা যায়, এ প্রথার উদ্দেশ্য হলো পরস্পরেরপ্রতি নির্ভরশীল থাকা । শ্রমের বিন্যাস, বৃত্তি অনুসারে শ্রেণীর বিভাজন করাই হলো এ প্রথার মূল ভিত্তি। সে যুগে তাই এক জাতি বা বর্ণ অপর জাতি বা বর্ণের সাহায্য
ব্যতিরেকে বেঁচে থাকতে পারতো না* ।

(পৃষ্ঠা ৪ - ৫)


*নিবেদিতার সমাজ-ভাবনা*
*পূর্বা সেনগুপ্ত*
*অধ্যাপিকা, গবেষণা বিভাগ , রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অব কালচার, কলকাতা।*
*মূলগ্রন্থ*
*(ভারতচেতনায় ভগিনী নিবেদিতা*
*সঙ্কলক ও সম্পাদক স্বামী চৈতন্যানন্দ)*
( ষষ্ঠ পর্ব)

সামাজিক সম্মেলন ও ভিক্ষুক: কেবল নদী নয়, বাগবাজারে বসে নিবেদিতা
আর-একটি বিষয়ের মনোজ্ঞ বিশ্লেষণ করেছেন। এই বিষয়টি হলো ‘ভিক্ষুক'।
এখানে তিনি দেখিয়েছেন, সামাজিক স্তরবিন্যাসের সর্বশেষ স্তরে যাদের উপস্থিতি
তারাই ভিখারি। এরা গৃহে গৃহে অর্থ, অন্ন এবং বস্ত্রের প্রত্যাশী হয়ে ঘুরে বেড়ায়।
কখন গান গেয়ে কখন বা শুধুমাত্র ঈশ্বরের নাম উচ্চারণ করে গৃহস্থের অঙ্গনে
কিছু জিনিস চেয়ে নেয়। এই প্রলেতারিয়েত বা সর্বহারা শ্রেণি সম্বন্ধে বলতে৩৮০
গিয়ে কার্ল মার্ক্স বলেছেন, এদের সমাজে কোনরূপ ইতিবাচক ভূমিকা থাকে না।
কিন্তু নিবেদিতা দেখিয়েছেন, ভারতে এই ভিক্ষুক বা ভিখারি সম্প্রদায়ের একটি
ইতিবাচক দিক আছে। এই শ্রেণির সঙ্গে ব্যবহারে ভারতীয় সমাজ ইউরোপের মতো
যান্ত্রিক নয়, বরং অনেক বেশি মানবিক। নিবেদিতা লিখছেন: “ভারতীয় জীবনে
ভিক্ষুকের সামাজিক তাৎপর্যের মতো আকর্ষণীয় বিষয় খুব কমই আছে। কান্ট
এবং স্পিনোজার জীবনে সম্পদের প্রতি যে বিতৃষ্ণা দেখি তা ভারতীয় পরিবেশে
সহজেই যথার্থ ত্যাগে পর্যবসিত হয়। এখানে গৃহ ও আচ্ছাদনের প্রয়োজন খুব
সামান্য—একমুঠো চাল যে-কোন বাড়িতে পাওয়া যায় এবং কিছু শাকপাতাই শুধু
দরকার। কিন্তু ভিক্ষুকের ওপরে সবাই দায়িত্ব দিয়েছে তার পৃষ্ঠপোষকদের সঙ্গে
মত-বিনিময় ও মহৎ চিন্তার। সুতরাং সে উঠানে দাঁড়িয়ে গান গেয়ে বা মন্ত্র পড়ে
নিজের উপস্থিতি জানায়। অর্থাৎ সে সর্বদা ভগবানের নাম করতে করতে আসে।
এদের গান নিয়ে গোটা সাহিত্যই আছে।... ইউরোপে আমরা যাকে বলি ‘কেল্টিক
ভাব’, এগুলো তাতে পূর্ণ। সুতরাং খুব সাধারণভাবে বলতে গেলে ভারতীয় ভিক্ষুক
স্বদেশের লোককাব্যের সংরক্ষক।... আবার যে-স্ত্রীলোক তাকে ভিক্ষা দেয়, সে তার
ধর্মশিক্ষকও। যে-সব বিষয়ে স্ত্রীলোকটি অপর কাউকে কিছু বলার সুযোগ পায় না,
সে-সব বিষয়ে ভিক্ষুক আলোচনা করে এবং এইভাবে সংস্কৃতিকে দূর-দূরান্তরে ছড়িয়ে
দেয়।” অর্থাৎ নিবেদিতার কাছে এই ভিখারি শ্রেণি ছিল চলমান সংস্কৃতির বাহক।
কিন্তু এই ভিখারিদের মধ্যেও থাকে গোঁড়ামি, তারা নিজের গণ্ডি বা জাতি সম্বন্ধে
সচেতন। নিবেদিতা উল্লেখ করেছেন, একবার একটি পাউরুটি কিনে ভিখারিকে
দিতে গেলে সেই ভিখারি তা নিতে অস্বীকার করে। কারণ, খামি দিয়ে পাউরুটি
প্রস্তুত করেছে কোন মুসলমান আর তা প্রদত্ত হচ্ছে নিবেদিতার হাত দিয়ে। সুতরাং
তা খ্রিস্টানের ছোঁয়া। বিধর্মীর স্পর্শদোষে দুষ্ট খাদ্যকে কোন ভিখারিও গ্রহণ করতে
নারাজ। তবে এ যদি রুটি না হয়ে কিছু পয়সা হতো, তবে সে আনন্দের সঙ্গে
গ্রহণ করত। এই মানসিকতা দেখে নিবেদিতা অবাক হয়েছেন। জাতিব্যবস্থার মধ্যে
বা সামাজিক স্তরবিন্যাসের মধ্যে অন্ন গ্রহণ ও প্রদানের যে-রীতিনীতি আছে তা
ধনহীন ভিক্ষুকও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে। যদিও এই ঘটনা নিবেদিতাকে আহত
করেছিল। তাঁর ধারণা ছিল বিদেশে ভিখারিদের পয়সা দিলে তারা মদ কিনে খায়,
তাই দান হিসাবে কিছু খাদ্যদানই শ্রেয়। কিন্তু ভারতে এসে সেই ধারণা নিবেদিতার
ভেঙে যায়। বর্তমানে আমরা জাতিব্যবস্থার কাঠামোকে যেহেতু কঠোরভাবে পালন
করি না, তাই এখন অর্থের পরিবর্তে খাদ্যদানকেই উৎকৃষ্ট বলে কোন কোন ক্ষেত্রে
স্বীকার করা হয়। কিন্তু নিবেদিতার সময় পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন।
(পৃষ্ঠা - ৩৭৯ - ৩৮০)




Photo from Lalita Chatterjee



20 last posts shown.