INB বাংলা

আমরা ক্রেডিট বলতে বুঝি ক্রেডিট ফি'স বৃদ্ধি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কিছু হলেই ক্রেডিট ফি বাড়ায় আর আমরা হিসাব করি ৩ ক্রেডিট কোর্সে পার ক্রেডিট ৫০০০ - ৯০০০ হলে পার কোর্স কত।
আন্দোলনের ক্রেডিট জিনিসটা আবার কি? এইটা তো শুধু ঢাবির। সেটা ঢাবির সমন্বয়ক, ঢাবি শিবির, ঢাবি ছাত্রদল, ঢাবি পাঠচক্র, ঢাবির ভাই বেরাদার, ঢাবি ছাত্রশক্তি, ঢাবি বামজোট'এর।
প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, জাবি, রাবি, চবি, খুবি, মাদ্রাসা, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, স্কুল, কলেজ - এলাকার মানুষসহ বাকিদের জন্য ক্রেডিট বলে কোন শব্দ নাই।
#PUSAB

ভাই, গরিব মানুষেরে ব্লেইম করা বন্ধ করেন।সিএনজিওয়ালারা যে দাবী করসে সিএনজি মিটারে চালানো যাবে না- এই দাবী ১০০% সঠিক দাবী। সিএনজির মিটার ভদ্রলোকের দেশের জন্যে, বাংগুল্যান্ডের জন্যে না। কেন?
আপনি মিটারের ভাড়ার হিসাব করসেন সিএনজির দাম, সিএনজির লাইসেন্সের খরচ হিসাব কইরা ডেপ্রিসিয়েশন, তেলের খরচ এইসব বিবেচনায়,তাইতো? সেই সিএনজির দাম কত ছিলো?
৩ লাখ? বড়জোর ৪ লাখ? বা ধরেন বাড়তে বাড়তে ৬ লাখ? কিন্তু এখন সিএনজির দাম কত আপনে জানেন?
২৮ লাখ। ৩০ লাখ। ৩৫ লাখ। ইয়েস,ইউ আর রিডিং ইট রাইট।একটা সিএনজির দাম ৩৫-৪০ লাখ টাকা।তাও পুরান সিএনজি, অন্তত ২০ বছর চালানো পুরান সিএনজির দাম হইলো এই! এবং আপনি কোনও নতুন সিএনজিও যদি কেনেন, তবু আপনার এই পরিমাণ টাকাই লাগবে।
এই টাকায় একটা টপ নচ প্রিমিও পাওয়া যায়, এই টাকায় একটা নিশানের এসইউভি পাওয়া যায়। কেন একটা সিএনজির দাম এত হইলো?
এইখানেই আমাদের আমলাতন্ত্রের পরিবেশবাদী মহানুভবতা। আমাদের আমলাতন্ত্র ঢাকা শহরে নতুন করে সিএনজি রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করে দিয়েছে ঢাকা শহরের পরিবেশ রক্ষায়। এইটার ফলাফল কী?ঢাকার এয়ার ইন্ডেক্স ৫০০'র ওপরে! পৃথিবীর দ্বিতীয় দূষিত শহরটা বাংলাদেশের রাজধানীর অর্ধেক দূষণও করেনাই!
কিন্তু সিএনজি বিক্রি বা কেনা তো বন্ধ হয়নাই? তাইলে খেলা কেমনে চলতেসে?
খেলা চলতেসে হইলো পুরান সিএনজির নাম্বার বিক্রির রমরমা ব্যবসা দিয়া। আপনি সিএনজি কিনতে চাইলে প্রথমে আপনার বি আর টি এ তে যোগাযোগ করা লাগবে। সেখানকার স্যার রা যদি আপনাকে কোনোও বাজেয়াপ্ত, বা ধ্বংস হওয়া, বা পুড়ে যাওয়া সিএনজির নাম্বার খুইজা দিতে পারে- তাইলে স্রেফ সেই নাম্বার টা কিনতেই আপনার গুণতে হবে সিচুয়েশন ভেদে ন্যুনতম ২৫ লাখ টাকা,উর্ধ্বে ৩৫ লাখ। এই নাম্বার পাওয়ার পরে আপনে ধরেন ২-৩ লাখ টাকা দিয়া একটা নতুন সিএনজি কিনবেন,কিনে বডিতে লাগাবেন সেই পুরানা নাম্বার।
আবার সিএনজি কিনতে যেহেতু এই টাকা খরচ হবেই- সেহেতু আপনি এত ঝক্কিতে না গিয়া সরাসরি একটা পুরান সিএনজিও কিনে ফেলতে পারেন, সেক্ষেত্রে আমলাদের ব্যবসা টাইল হয়া যায়, টাকা টা সরাসরি মালিকপক্ষই পায়।তখনও আবার মালিকানা চেইঞ্জের কালে একটু পয়সা টয়সা ভাইরা খায় আরকি!
তাইলে এবার আমারে বলেন- সিএনজির বাজার থেইকা এই যে সমুদ্র চুরির স্কেলে এই লেভেলের লুটপাট করতেসে কে বা কাহারা? সহজ উত্তর হইলো বি আর টি এর কর্তারা। ইন আদার ওয়ার্ডস, এই দেশের আমলা নামের শুওরের বাচ্চারা।
এবার আমারে বলেন তাইলে, মিটারে যে ভাড়া ওঠে- ওইটায় সিএঞ্জির হাইস্ট দামই ধরে ৬ লাখ টাকা।সেই সিএঞ্জি যদি ৩৫ লাখ টাকা হয়- আপনার মিটারে যাইবে কি মানুষ জমি বেইচ্চা?
৩৫ লাখ টাকা যেই গাড়ির পিছে আপনি ইনভেস্ট করসেন- সেইটা যদি একজন সিএনজিওয়ালার কাছে ভাড়াও দেন- জমা কত নিবেন? ওয়েল, সিএনজিওয়ালারা তিন শিফটে ১২০০ টাকা করে জমা দিয়া সিএনজি চালায়। সিএঞ্জির বাজারে এত টাকা যে ইনভেস্ট করে ঢাকা শহরের টাকাওয়ালারা- পুরান সিএনজিই কেনে ৩৫-৪০ লাখ দিয়া- তার ইন্সেন্টিভ টাই এইখানে- এইখানে টাকা লাগাইলেই ৩৫ লাখে মাসে ৮০-৯০ হাজার টাকা! বানাদেশের মানি মার্কেটের হিসাবে আবার এই ইনভেস্টমেন্ট খুবই ভ্যালিড। লাখে মাসে ২৫০০-৩০০০ টাকা খুবই ফেয়ার প্রফিট। এইগুলাতে কোনও আনফেয়ার খেলাধুলা নাই,কেউই বেশি খাইতেসেনা।
বেশি খাইতেসে আমলা নামের কাঁচা শুওরের বাচ্চারা। ওদেরর পেটের রাক্ষুসে ক্ষুধা মিটাইতেই সিএনজির বাজারদর এমন ভূতের মত বাড়সে। ফলে কিছু বলার থাকলে এইটা নিয়া বলেন।
এইটা নিয়া কথা আপনারা বলবেন না।কারণ আপনারা হয় এই আমলাদেরই ভবিষ্যত,একদিন আপনারাও আমলা হবেন সেই আশায় আছেন,অথবা আপনাদের জাত ভাইদের এই দুটো "করে খাওয়া" কে আপনাদের অত্যন্ত ন্যায্য মনে হয়।
ফলে তাদের সাথে আপনারা পারবেন না। আপনারা পারবেন পেটের দায়ে পথে নামা সিএনজিওয়ালাদের সাথে! যেন তারা খুবই বড় অন্যায় করে ফেলসেন!
©Collected
এই কথা গুলো সামনে আশা উচিত আরও বেশি আর আমাদেরও প্রচার করা উচিত। এই দেশের আমলাতন্ত্রে বড় পরিবর্তন আনা এখন সময়ের দাবি!
অনিয়ম টা তুলে ধরাটাই এইখানে মুখ্য বিষয়!

সহযোগিতার নাকি গোলামির চুক্তি?

যুদ্ধ বিরতির পর ইউক্রেনকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য জেলেনস্কির সামনে একটা খসড়া চুক্তিপত্র তুলে ধরেছে আমেরিকা। তাকে চাপ দিয়েছিল সেই চুক্তিপত্রে সই করতে কিন্তু জেলেনস্কি সেটা করে নি। সে বলেছে ইউরোপ এবং ব্রিটেনের অনুমতি না নিয়ে সে ওখানে স্বাক্ষর করবে না।

ফলে ইউক্রেন, ইউরোপ এবং ব্রিটেনের উপর চরম খেপেছে আমেরিকা। গত সপ্তাহে ইউরোপীয় নেতাদের শাসাতে ট্রাম্প তার এ টীমকে পাঠিয়েছিলেন ইউরোপে। তারাও মনের মাধুরী মিশিয়ে শাসিয়েছে ইউরোপীয় নেতাদের।

প্রশ্ন হচ্ছে, কি ছিল সেই চুক্তিতে।

সেই খসড়া চুক্তিটি ফাঁস করে ইন্টারনেট জগতে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। খুব সম্ভবত ইউক্রেনের পক্ষ থেকে করা হয়েছে এটি।

পুরোটা পরলে আপনার অবচেতন মনেই বলে উঠবেন, টাম্প কামডা করলো কি?এটা তো ইউক্রেনকে ৫২ তম অঙ্গরাজ্য বানানোর নকশা! চুক্তি অনুযায়ী:

- আমেরিকা ইউক্রেনকে নিরাপত্তার বিপরীতে ইউক্রেনের যত খনিজ সম্পদ, তেল-গ্যাস এবং বাণিজ্যিক বন্দর আছে সেগুলোর ইনকামের ৫০% আমেরিকাকে দিতে হবে।

- ইউক্রেনের এই সব ক্ষেত্রে নতুন যত লাইসেন্স দেয়া হবে সেগুলোর অগ্রাধিকার পাবে আমেরিকা। আমেরিকা যদি (মনে করে এগুলো লাভজনক না এবং) চুক্তি না করে তাহলে অন্যদেরকে অফার করতে পারবে ইউক্রেন।

- আমেরিকার কাছে মাসিক আয় ব্যয়ের হিসাব দিতে হবে। এই আয় ব্যয়ের হিসাব নিরীক্ষণের জন্য একজন স্বাধীন (আমেরিকাপন্থি) অডিটর নিয়োগ দেয়া হবে যার বেতন দিবে ইউক্রেন।

- ইউক্রেন যদি এই অর্থনৈতিক বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে ব্যর্থ হয় তাহলে ওই সব সম্পদ আমেরিকা পুরোপুরি দখল করতে পারবে।

- এই চুক্তিটিকে একটি বাণিজ্যিক চুক্তি হিসেবে ধরা হবে।

- চুক্তির কোন মেয়াদ থাকবে না।

জেলেনস্কিঃ তাহলে এটা তো ইউক্রেনকে আমেরিকার হাতে তুলে দেয়া। আমি এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পারবো না। (কয়কদিন আগে একটা ভিডিওতে এই বিষয়ে ইঙ্গিতে বলেছিলাম)

আর এতেই খেপেছে ট্রাম্পের টীম ।

(খুব সম্ভবত সৌদি আরবের সাথে "পেট্রোডলার" চুক্তিটাও এই টাইপের একটা চুক্তি ছিলো)

সাংবাদিক সরওয়ার

হামাসের কাছ থেকে মুক্তি পাওয়া একজন ইসরায়েলি বন্দী আলেকজান্ডার টারবানভের বক্তব্য দখলদার ইসরায়েলকে হতবাক করেছে।
তিনি বলেন,

“তোমার দয়া আমার বিবেকের উপর খোদাই করা আছে। তোমাদের মধ্যে ৪৯৮ দিন কাটিয়ে, তোমাদের উপর যে আগ্রাসন ও অপরাধের শিকার হতে হয়েছিল, তা সত্ত্বেও, আমি প্রকৃত পুরুষত্ব, বিশুদ্ধ বীরত্ব এবং মানবতা ও মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধার অর্থ শিখেছি।

তোমরা ছিলে মুক্ত-অবরুদ্ধ, আমি ছিলাম বন্দী, আর তোমরা ছিলে আমার জীবনের রক্ষক। একজন যত্নশীল বাবা যেমন তার সন্তানদের দেখাশোনা করেন, তুমি আমার যত্ন নিয়েছিলে। তুমি আমার স্বাস্থ্য, আমার মর্যাদা এবং আমার করুণা রক্ষা করেছ, এবং ক্ষুধা বা অপমান আমাকে স্পর্শ করতে দাওনি, যদিও আমি তাদের ভূমির জন্য লড়াই করা এবং অধিকার দখলকারী লোকদের খপ্পরে পড়েছিলাম, এবং যারা আমার দেশের সরকার দ্বারা অবরুদ্ধ জনগণের বিরুদ্ধে সবচেয়ে জঘন্য গণহত্যা চালিয়েছিল।

তোমার চোখে না দেখা পর্যন্ত আমি পুরুষত্বের অর্থ জানতাম না, আর ত্যাগের মূল্য বুঝতে পারিনি যতক্ষণ না আমি তোমার মাঝে বাস করি, হাসিমুখে মৃত্যুর মুখোমুখি হই এবং তোমার নগ্ন দেহ দিয়ে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করি, যার হত্যা ও ধ্বংস করার ক্ষমতা ছিল। আমি যতই স্পষ্টবাদী এবং স্পষ্টবাদী হই না কেন, আপনার মূল্য প্রতিফলিত করার এবং আপনার মহৎ নৈতিক মূল্যবোধের প্রতি আমার বিস্ময় এবং প্রশংসা প্রকাশ করার জন্য আমি কোনও শব্দ খুঁজে পাব না।

তোমাদের ধর্ম কি বন্দীদের সাথে এইভাবেই আচরণ করতে শেখায়?
এটা কত মহান ধর্ম, এটা তোমাকে এত উঁচু স্তরে উন্নীত করে যে, মানুষের তৈরি সমস্ত মানবাধিকার আইন ভেঙে পড়ে এবং শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রোটোকল ভেঙে পড়ে!
সবচেয়ে কঠিন মুহুর্তে, আপনি মিথ্যা স্লোগান দিয়ে নয় বরং আমরা যে বাস্তবতায় বাস করি তার সাথে ন্যায়বিচার এবং করুণা দেখিয়েছেন এবং সবচেয়ে অন্ধকার পরিস্থিতিতেও আপনি আপনার নীতি ত্যাগ করেননি।

বিশ্বাস করো, যদি আমি কখনও এখানে ফিরে আসি, তাহলে আমি কেবল তোমাদের মধ্যে একজন মুজাহিদ হিসেবেই ফিরে আসব। কারণ আমি তোমাদের লোকদের কাছ থেকে সত্য শিখেছি এবং বুঝতে পেরেছি যে তোমরা কেবল জমির মালিক নও, বরং নীতি ও ন্যায়সঙ্গত কারণেরও মালিক।”

©