আস্তাগফিরুল্লাহ!এ তো আমি নাফরমান গুনাহগারের সাথে মিলে যায়😪
আমার প্রথম পড়াশোনা হয় স্কুলে। যখন ক্লাস 3 এ পড়ি তখন মক্তবেও যেতাম + স্কুলেও যেতাম। সুবিধার ছিল মাদ্রাসা+ স্কুল আমার গ্রামেই ছিল। মক্তবে এক পর্যায়ে রাতেও থাকা শুরু করি। হঠাৎ স্কুলে ৪র্থ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা দেব এমন সময় কোনো এক কারণে আমার সমবয়সী ৫/৬ জন ছেলে স্কুলে পড়া বাদ দিয়ে খাতা/বালিশ নিয়ে মাদ্রাসায় চলে যাই। কুরআনের প্রথম দিকে আড়াই পারা + আমপারা হিফজ করেছিলাম। হিফজে আমার সমবয়সীদের থেকে এগিয়ে ছিলাম। নিয়মিত সবক শুনাতাম এবং দুপুরে প্রতিদিন সাতসবক শুনাতাম। হঠাৎ শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে যাই। অনেক মারধর খেয়েছি। জালি বেত আমার পিঠে মেরে ভেঙেছে পর্যন্ত। যতই মারতো বলতাম তাহলে আর পড়বই না। আমার কথাই ছিল আমি আলিয়াতে ভর্তি হবো। পাশের গ্রামেই আলিয়া মাদ্রাসা। তারপর না পেরে আমাকে ক্লাস 5 এ ভর্তি করায়। কিছুদিন নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত করেছি ইয়াদ রাখার জন্য। পরে আস্তে আস্তে আর পড়া হতো না। সম্ভবত ক্লাস 9 থেকে আমার সঠিক বুঝ এসেছে। তখন তো হায় আফসোস! কি ছেড়ে কি ধরলাম!! শত আফসোস। এখন তো কিছু সূরা ইয়াদ আছে বাকিসব ইয়াদে নেই। 😪
২০২২ এ দাখিল পরিক্ষা দিয়ে ৪.৫০ পেয়ে পাশ করি। বিভিন্ন সমস্যার কারণে আর ভর্তি হয়নি।
বর্তমানে একটি জবে আছি। অনেক ব্যস্থতার পরেও প্রতিদিন রাতে সূরা মূলক+ কিছু সূরা পড়ে তারপর ঘুমাই। যতটুকু সম্ভব চেষ্টায় আছি হিফজ করা কুরআন ইয়াদে আনার জন্য। আল্লাহ ক্ষমা করুন।
প্রত্যেকের কাছে দোয়ার দরখাস্ত। বলার প্রয়োজন ছিল না তবুও বলে রাখি আমার একটি রোগের জন্য অপারেশন করা লাগে। আর্থিকভাবে দূর্বলতার কারণে আপাতত অপারেশন করছি না। এজন্য যেকোনো সময় এক্সিডেন হয়ে যেতে পারে। আজ বেঁচে আছি কাল নাও থাকতে পারি। মৃত্যু কার কখন, কোথায়, কিভাবে কোন অবস্থায় হবে কেউ জানে না। আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করুন।
@Admin
রেজাউল করিম