টিনএজারদের গ্রুপে যখনই উপদেশ দেই বাবা মায়ের সাথে যেকোনো সমস্যা নিয়ে পরামর্শ করার, এই একটা জায়গায় এসে থমকে যাই। বাবা মায়েরা কি সন্তানদের সেই সুযোগ দেন?
কয়জন বাবা/মা সন্তানকে এই আশ্বাস দিতে পেরেছেন যে তুমি যত বড় ঝামেলায় পড়, যত বড় ভুল করো, আমার কাছেই এসে বলবে? বাইরের মানুষকে না, বন্ধু বান্ধবকে না যারা হয়ত আরো বিভ্রান্ত করবে তাদেরকে?
অনেক পরিবারে আবার এটা করতে গিয়ে সন্তানকে যা খুশি করার অধিকার দিয়ে রাখে। সেটাও ভুল। আপনি জেনে বুঝে থাকে হারাম করতে দিবেন কেন?
মাঝামাঝি ব্যালেন্স করতে পারা শেখা জরুরি। সঠিক পথ দেখানো, হারাম থেকে বিরত রাখা জরুরি। সেই সাথে জরুরি এমন একটা কমিউনিকেশন রাখার যেন বাচ্চার জীবনে কী চলছে এটা বাবা মায়ের জানা থাকে। কোনো বিপদে পড়লে বাচ্চারা জানে প্রথম মানুষ যার কাছে সে যাবে হচ্ছে তার মা অথবা বাবা।
এটা কিভাবে করবেন?
- কথোপকথনের অভ্যাস থাকতে হবে। আলোচনা। মত বিনিময়। ওদের মনে কী আছে না জানলে সমাধান দিবেন কিভাবে?
- আপনার নিজের স্বভাব এমন হতে হবে যে আপনার moral values এর উপর ওদের আস্থা থাকে। ওরা জানবে আপনি মিথ্যা বলবেন না। আপনি কথা রাখবেন। আপনি ভনিতা করবেন না। এটা ওরা কিভাবে জানবে? বাবা মায়ের নিজেদের সম্পর্ক দেখে। এবং অন্যদের সাথে বাবা মায়ের আদান প্রদান দেখে।
- আপনার স্বভাব সুন্দর হলে আপনি যখন তাদেরকে বলবেন যে যেকোনো কঠিন পরিস্থিতিতে আপনার কাছে আসতে, ওরা সেটা বিশ্বাস করবে। বিশ্বাস করবে আপনার কাছে তখন আসলে আপনি সব কিছুর আগে তাদেরকে স্পেস দিবেন নিজের পরিস্থিতি বলার। আপনি বুঝবেন।
- কথা দিলে, কথা রাখতে হবে। অভয় দিলে, ভয় দেখানো যাবে না। এখন কোনো মা যদি বলে "বলো কী হয়েছে, আমি বকবো না।" আর শোনার সাথে সাথে বলে "কী, এসব করে এসেছ না?" তাহলে নিশ্চিন্ত থাকুন সন্তান আপনাকে ভবিষ্যতে আর বিশ্বাস করবে না।
এখন সন্তান কুকর্ম করে আসলে কি শাসন করবেন না? অবশ্যই করবেন। জন্ম থেকে শেখাতে থাকবেন আল্লাহর সীমা। পরিবেশ দিবেন। আর কুকর্ম করে এসে আপনাকে কেন বলছে সেটা বুঝবেন- বলছে সাহায্যের জন্য। অনুশোচনা আছে তাই বলছে। তখন সেখান থেকে বের হওয়ার পথ দেখান। ডুবে যাওয়ার পথ না।
এই যে বিশ্বাস তৈরি করা, কথোপকথনের অভ্যাস করা, এসব ছোট বেলা থেকেই করতে হয়। আর সেটা যদি করা না হয়ে থাকে, এখনও করতে চেষ্টা করুন। "আমি কথা খুঁজে পাই না" অথবা "আমার এত আহ্লাদী করতে ভালো লাগে না" এসব বলবেন না। আপনি মা মানে আপনার ভূমিকা অনেক বড়। সেই ভূমিকা পালনের যোগ্য নিজেকে করে তুলতে হবে। আপনি কথা না শুনলে, অন্য কেউ শুনবে এবং ভুল পথ দেখাবে, এই বিষয়ে নিশ্চিত থাকুন।
(লেখাটি প্রাইভেট গ্রুপে শেয়ার করা হয়েছিল। On request এখানে দেয়া হলো।)
কয়জন বাবা/মা সন্তানকে এই আশ্বাস দিতে পেরেছেন যে তুমি যত বড় ঝামেলায় পড়, যত বড় ভুল করো, আমার কাছেই এসে বলবে? বাইরের মানুষকে না, বন্ধু বান্ধবকে না যারা হয়ত আরো বিভ্রান্ত করবে তাদেরকে?
অনেক পরিবারে আবার এটা করতে গিয়ে সন্তানকে যা খুশি করার অধিকার দিয়ে রাখে। সেটাও ভুল। আপনি জেনে বুঝে থাকে হারাম করতে দিবেন কেন?
মাঝামাঝি ব্যালেন্স করতে পারা শেখা জরুরি। সঠিক পথ দেখানো, হারাম থেকে বিরত রাখা জরুরি। সেই সাথে জরুরি এমন একটা কমিউনিকেশন রাখার যেন বাচ্চার জীবনে কী চলছে এটা বাবা মায়ের জানা থাকে। কোনো বিপদে পড়লে বাচ্চারা জানে প্রথম মানুষ যার কাছে সে যাবে হচ্ছে তার মা অথবা বাবা।
এটা কিভাবে করবেন?
- কথোপকথনের অভ্যাস থাকতে হবে। আলোচনা। মত বিনিময়। ওদের মনে কী আছে না জানলে সমাধান দিবেন কিভাবে?
- আপনার নিজের স্বভাব এমন হতে হবে যে আপনার moral values এর উপর ওদের আস্থা থাকে। ওরা জানবে আপনি মিথ্যা বলবেন না। আপনি কথা রাখবেন। আপনি ভনিতা করবেন না। এটা ওরা কিভাবে জানবে? বাবা মায়ের নিজেদের সম্পর্ক দেখে। এবং অন্যদের সাথে বাবা মায়ের আদান প্রদান দেখে।
- আপনার স্বভাব সুন্দর হলে আপনি যখন তাদেরকে বলবেন যে যেকোনো কঠিন পরিস্থিতিতে আপনার কাছে আসতে, ওরা সেটা বিশ্বাস করবে। বিশ্বাস করবে আপনার কাছে তখন আসলে আপনি সব কিছুর আগে তাদেরকে স্পেস দিবেন নিজের পরিস্থিতি বলার। আপনি বুঝবেন।
- কথা দিলে, কথা রাখতে হবে। অভয় দিলে, ভয় দেখানো যাবে না। এখন কোনো মা যদি বলে "বলো কী হয়েছে, আমি বকবো না।" আর শোনার সাথে সাথে বলে "কী, এসব করে এসেছ না?" তাহলে নিশ্চিন্ত থাকুন সন্তান আপনাকে ভবিষ্যতে আর বিশ্বাস করবে না।
এখন সন্তান কুকর্ম করে আসলে কি শাসন করবেন না? অবশ্যই করবেন। জন্ম থেকে শেখাতে থাকবেন আল্লাহর সীমা। পরিবেশ দিবেন। আর কুকর্ম করে এসে আপনাকে কেন বলছে সেটা বুঝবেন- বলছে সাহায্যের জন্য। অনুশোচনা আছে তাই বলছে। তখন সেখান থেকে বের হওয়ার পথ দেখান। ডুবে যাওয়ার পথ না।
এই যে বিশ্বাস তৈরি করা, কথোপকথনের অভ্যাস করা, এসব ছোট বেলা থেকেই করতে হয়। আর সেটা যদি করা না হয়ে থাকে, এখনও করতে চেষ্টা করুন। "আমি কথা খুঁজে পাই না" অথবা "আমার এত আহ্লাদী করতে ভালো লাগে না" এসব বলবেন না। আপনি মা মানে আপনার ভূমিকা অনেক বড়। সেই ভূমিকা পালনের যোগ্য নিজেকে করে তুলতে হবে। আপনি কথা না শুনলে, অন্য কেউ শুনবে এবং ভুল পথ দেখাবে, এই বিষয়ে নিশ্চিত থাকুন।
(লেখাটি প্রাইভেট গ্রুপে শেয়ার করা হয়েছিল। On request এখানে দেয়া হলো।)