আপনার ব্র্যান্ড কী?
যেদিন জন্মেছিলেন, সেদিন আপনার আর আরেকজন এর মাঝে পার্থক্য এটাই ছিল যে আল্লাহ যার জন্য যেই পরিবার চেয়েছেন, দিয়েছেন।
যেদিন মারা যাবেন, কবরটা "কো...." বা "............" বা অন্য কোনো ব্র্যান্ড এর হবে না। একটাই ব্র্যান্ড তখন: মাটি ব্র্যান্ড। আপনার, আপনার উপরের এবং নিচের সব লেভেলের মানুষের জন্য একই। কারো কবর যদি ব্র্যান্ডেড হতও, তাহলেও তাতে তার কোনো উপকার হত না। এটা তার স্ট্যাটাস আল্লাহর সামনে বৃদ্ধি করতো না।
তাই এই জন্ম আর মৃত্যুর মাঝে যেই জীবন, এটাতে শো অফ এর ধোঁকায় পড়বেন না। আল্লাহ সামর্থ্য দিলে ইসলামের সীমায় থেকে যা কেনা হালাল কিনুন। কিন্তু এগুলো যেন জীবনের অপরিহার্য অংশে পরিণত না হয়- যা দিয়ে নিজের জীবন শো অফ করবেন আর অন্যের জীবন মূল্যায়ণ করবেন।
নিজের "worth" প্রমাণ করতে যদি আপনার "ব্র্যান্ডেড" জিনিস "দেখানো" লাগে, তারমানে আপনার নিজের কাছে নিজের "worth" নাই। তাই এসব তুচ্ছ বিষয় নিয়ে নিজের দাম বাড়ানো লাগছে। অন্যের কাছে নিজেকে "validate" করা লাগছে। এই চক্রের কোনো শেষ নাই। পৃথিবীর সব ব্র্যান্ড কিনে ফেললেও অন্য কারো কাছে সবসময়ই আপনার চাইতে বেশি থাকবে। আর যদি আপনার সবার চাইতে বেশি থাকে সব জিনিস, সেটাও আল্লাহর চোখে আপনাকে আলাদা মর্যাদা দিবে না।
নিজেদের, আর সন্তানদের- ব্র্যান্ড কে বড় করে দেখার অভ্যাস করা থেকে হেফাজত করুন। দিন শেষে এর থেকে হয় অহংকার আসবে, নয়ত অন্তরের অশান্তি। আর শেষ পর্যন্ত কার তাকওয়া বেশি, সেটাই ম্যাটার করবে আল্লাহর কাছে।
--------
(অনেকে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী ভালো জিনিস ব্যবহার করেন। তাতেই তাদেরকে অহংকারী ভাবারও প্রয়োজন নেই। ভালো কিছু ব্যবহার করা মানেই শো অফ না। ভালো কিছু ব্যবহার করে নিজেকে "উপরের স্তরের" ভাবাটা হলো সমস্যা। মোট কথা এটা অন্যকে বিচার করার পোস্ট না। নিজে সতর্ক হওয়ার পোস্ট।)
যেদিন জন্মেছিলেন, সেদিন আপনার আর আরেকজন এর মাঝে পার্থক্য এটাই ছিল যে আল্লাহ যার জন্য যেই পরিবার চেয়েছেন, দিয়েছেন।
যেদিন মারা যাবেন, কবরটা "কো...." বা "............" বা অন্য কোনো ব্র্যান্ড এর হবে না। একটাই ব্র্যান্ড তখন: মাটি ব্র্যান্ড। আপনার, আপনার উপরের এবং নিচের সব লেভেলের মানুষের জন্য একই। কারো কবর যদি ব্র্যান্ডেড হতও, তাহলেও তাতে তার কোনো উপকার হত না। এটা তার স্ট্যাটাস আল্লাহর সামনে বৃদ্ধি করতো না।
তাই এই জন্ম আর মৃত্যুর মাঝে যেই জীবন, এটাতে শো অফ এর ধোঁকায় পড়বেন না। আল্লাহ সামর্থ্য দিলে ইসলামের সীমায় থেকে যা কেনা হালাল কিনুন। কিন্তু এগুলো যেন জীবনের অপরিহার্য অংশে পরিণত না হয়- যা দিয়ে নিজের জীবন শো অফ করবেন আর অন্যের জীবন মূল্যায়ণ করবেন।
নিজের "worth" প্রমাণ করতে যদি আপনার "ব্র্যান্ডেড" জিনিস "দেখানো" লাগে, তারমানে আপনার নিজের কাছে নিজের "worth" নাই। তাই এসব তুচ্ছ বিষয় নিয়ে নিজের দাম বাড়ানো লাগছে। অন্যের কাছে নিজেকে "validate" করা লাগছে। এই চক্রের কোনো শেষ নাই। পৃথিবীর সব ব্র্যান্ড কিনে ফেললেও অন্য কারো কাছে সবসময়ই আপনার চাইতে বেশি থাকবে। আর যদি আপনার সবার চাইতে বেশি থাকে সব জিনিস, সেটাও আল্লাহর চোখে আপনাকে আলাদা মর্যাদা দিবে না।
নিজেদের, আর সন্তানদের- ব্র্যান্ড কে বড় করে দেখার অভ্যাস করা থেকে হেফাজত করুন। দিন শেষে এর থেকে হয় অহংকার আসবে, নয়ত অন্তরের অশান্তি। আর শেষ পর্যন্ত কার তাকওয়া বেশি, সেটাই ম্যাটার করবে আল্লাহর কাছে।
--------
(অনেকে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী ভালো জিনিস ব্যবহার করেন। তাতেই তাদেরকে অহংকারী ভাবারও প্রয়োজন নেই। ভালো কিছু ব্যবহার করা মানেই শো অফ না। ভালো কিছু ব্যবহার করে নিজেকে "উপরের স্তরের" ভাবাটা হলো সমস্যা। মোট কথা এটা অন্যকে বিচার করার পোস্ট না। নিজে সতর্ক হওয়ার পোস্ট।)