"খুনি হাসিনাকে ধরে এনে গণহত্যার বিচার কর"
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে নিহত অনেককে ‘বেওয়ারিশ’ হিসেবে দাফন করা হয়েছে। রায়েরবাজার কবরস্থানে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয় ১১৪টি মরদেহ। এসব মরদেহ রায়েরবাজারে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে। কিন্তু কার কবর কোনটি, সেটা জানতে পারছেন না তাদের স্বজনেরা। নিহত ব্যক্তিদের একজন মাহিন মিয়া। মাহিনের ভাই আবদুল জব্বারের সঙ্গে ৯ ডিসেম্বর রায়েরবাজার কবরস্থানে দেখা হয়। তিনি পেশায় রিকশাচালক।
তিনি বলেন, তিনি ও তাঁর ভাই মাহিন গত ১৮ জুলাই মোহাম্মদপুরের টাউন হল এলাকায় আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। মাহিন সেদিন আর বাড়ি ফেরেননি। তার পর থেকে ভাইয়ের খোঁজে আশপাশের থানা, হাসপাতালের মর্গ চষে বেড়িয়েছেন। পরে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কার্যালয়ে গিয়ে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা মরদেহের ছবি দেখে জানতে পারেন, তাঁর ভাইকে হত্যা করা হয়েছে, দাফন করা হয়েছে রায়েরবাজারে। মাহিন মা'রা যাওয়ার ১৫ দিন পর তাঁর স্ত্রীর প্রথম সন্তান হয়।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ময়নাতদন্ত প্রত্যয়নপত্রে মাহিন মিয়ার পরিচয় লেখা আছে ‘অজ্ঞাত’। সেখানে লেখা আছে, ১৯ জুলাই ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালের স্ট্রেচারে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়। তাঁর মাথার বাঁ ও ডান পাশে ছিদ্র রয়েছে। মৃত্যুর কারণ হিসেবে মাথায় গুলি উল্লেখ করা হয়েছে।
মাহিনের ভাই আবদুল জব্বার বলেন, ‘ভাইয়ের লাশটা চোখে দেখলাম না। এখানে কোনটা আমার ভাইয়ের কবর, তা–ও তো জানি না। ভাইটা বাচ্চার বাপ হইল, এই ছেলে বড় হইলে বাপের কবরটাও চিনব না।’
#JulyMassacre
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে নিহত অনেককে ‘বেওয়ারিশ’ হিসেবে দাফন করা হয়েছে। রায়েরবাজার কবরস্থানে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয় ১১৪টি মরদেহ। এসব মরদেহ রায়েরবাজারে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে। কিন্তু কার কবর কোনটি, সেটা জানতে পারছেন না তাদের স্বজনেরা। নিহত ব্যক্তিদের একজন মাহিন মিয়া। মাহিনের ভাই আবদুল জব্বারের সঙ্গে ৯ ডিসেম্বর রায়েরবাজার কবরস্থানে দেখা হয়। তিনি পেশায় রিকশাচালক।
তিনি বলেন, তিনি ও তাঁর ভাই মাহিন গত ১৮ জুলাই মোহাম্মদপুরের টাউন হল এলাকায় আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। মাহিন সেদিন আর বাড়ি ফেরেননি। তার পর থেকে ভাইয়ের খোঁজে আশপাশের থানা, হাসপাতালের মর্গ চষে বেড়িয়েছেন। পরে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের কার্যালয়ে গিয়ে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা মরদেহের ছবি দেখে জানতে পারেন, তাঁর ভাইকে হত্যা করা হয়েছে, দাফন করা হয়েছে রায়েরবাজারে। মাহিন মা'রা যাওয়ার ১৫ দিন পর তাঁর স্ত্রীর প্রথম সন্তান হয়।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ময়নাতদন্ত প্রত্যয়নপত্রে মাহিন মিয়ার পরিচয় লেখা আছে ‘অজ্ঞাত’। সেখানে লেখা আছে, ১৯ জুলাই ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালের স্ট্রেচারে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়। তাঁর মাথার বাঁ ও ডান পাশে ছিদ্র রয়েছে। মৃত্যুর কারণ হিসেবে মাথায় গুলি উল্লেখ করা হয়েছে।
মাহিনের ভাই আবদুল জব্বার বলেন, ‘ভাইয়ের লাশটা চোখে দেখলাম না। এখানে কোনটা আমার ভাইয়ের কবর, তা–ও তো জানি না। ভাইটা বাচ্চার বাপ হইল, এই ছেলে বড় হইলে বাপের কবরটাও চিনব না।’
#JulyMassacre