INB বাংলা

আমার এক ক্লোজ ভাতিজার প্যানিক এট্যাকের সমস্যা ছিল। এন্টি এংজাইটি ওষুধও খেত। জুলাইয়ের সেই উত্তাল সময়ে প্রতিটা দিন সে বের হয়ে মিছিলে গেছে। পিকেটিং করেছে।

জুলাইয়ে একদিন পুলিশ আর ছাত্রলীগের তাড়া খেয়ে সে এক ক্লিনিকে গিয়ে লুকিয়ে ছিল। কাঁদো কাঁদো গলায় আমাকে ফোন করে বললো, চাচ্চু আমারে বাঁচান। আমি সেখান থেকে তাকে নিয়ে আসি।

এই ছেলেটা এর কিছুদিন পরেই আত্মহত্যা করে। আমার ধারণা তার এই মৃত্যুতে জুলাইয়ের ভয়াবহতা ও ট্রমা খারাপভাবে ভূমিকা রেখেছে। জুলাইয়ের নিহতদের তালিকায় সে হয়ত থাকবে না। কিন্তু সেও জুলাইয়ের আফটার ইফেক্ট।

জুলাই আসলে '২৪ কে অতিক্রম করে আরও বহুবছর চলমান থাকবে। এইরকম বহু মানুষ আছেন, যাদের পক্ষে জুলাইয়ের ঘটনাকে ভোলা অনেক কঠিন।

যে মা তাঁর সন্তান হারিয়েছেন, যে বোন তাঁর ভাইকে হারিয়েছে, যে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী তাঁর স্বামীকে হারিয়েছে, যে বন্ধু তাঁর প্রিয় বন্ধুটিকে হারিয়েছে তাঁদের জুলাইয়ের কোনও সমাপ্তি নাই।

জুলাই এ প্রজন্মের জনজীবনের সবচে' গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এত এত হত্যা, লাশ, মৃত্যু এবং আহতের আর্তনাদ যারা প্রত্যক্ষ করেছে কখনোই তাদের পক্ষে তা ভুলে যাওয়া সম্ভব না।

হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে মানুষ মারা হচ্ছে। শিশুদের খুন করে ফেলা হচ্ছে। রাস্তায় সেনাবাহিনী শত্রুকে আক্রমণ করার মত দলবেঁধে শুয়ে গুলি চালাচ্ছে।

পুলিশ ধরে ধরে মাজল ঠেকিয়ে গুলি করছে। শটগানের একটা গুলি থেকে বেরোনো কয়েকশো প্যালেট ঝাঁঝরা করে দিচ্ছে নিরস্ত্র, থরথর কাঁপতে থাকা কিশোরকে। বহু শিশু জীবনে কখনও পিতাকে না দেখেই বেড়ে উঠবে।

জুলাইয়ের ক্ষত অনেক বছর এই জাতিকে বয়ে বেড়াতে হবে। এই নারকীয়তায় আওয়ামীলীগের নূন্যতম অনুতাপ নাই। কিন্তু পুলিশের যারা ছিলেন তাদেরও কি আসলে আছে?

আজকে সচিবালয়ের সামনে এশিয়ান ইউনিভার্সিটির ছাত্ররা যখন জড়ো হলো তখন পুলিশ যে পদ্ধতিতে ক্রাউড কন্ট্রোল করেছে সেটা কি আমাদের জুলাইয়ের কথা মনে করিয়ে দেয় না?

পুলিশ কি আরও সভ্য উপায়ে এই জটলা ভাঙতে পারত না? সচিবালয়ের সামনে দাবি নিয়ে যাওয়া অন্যায় হয়েছে তা মানলাম কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা যখন ন্যায়তান্ত্রিক আন্দোলন করে যাচ্ছিল তখন সমন্বয়কেরা এবং সরকার ঠিক কতখানি গুরুত্ব দিয়েছেন?

আজ এ জায়গায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেরা হলে কি এই প্রতিক্রিয়া সরকার দেখাত? শিক্ষা উপদেষ্টা একটু দেখা করতে পারলেন না? প্রতিনিধি পাঠাতে পারলেন না!

এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা মাত্র কয়েকমাস আগে রাস্তায় তাজা প্রাণ ঢেলে দিয়েছে।

দয়া করে একটা মানবিক রাষ্ট্র গড়ুন। একটা সভ্য পুলিশ গড়ে তুলুন। জুলাইয়ের স্মৃতিকে তাজা করে তুলবেন না। ক্রাউড কন্ট্রোলের নামে পুলিশকে যাচ্ছেতাই করার সুযোগ করে দিবেন না।

রাষ্ট্রকে প্রশ্ন করুন। ফ্যাসিস্ট তো একদিনে তৈরি হয় না।

আরজু আহমাদ

👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇

খালেদা জিয়াকে বিদায় জানাতে এসে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ। 😑😑

জয়বাংলা

চাঁদাবাজরা যেমন অলিখিত নিয়ম করে ফেলেছে যে, চাঁদা না দিলে ব্যবসা করা যাবে না, গাড়ি চালানো যাবে না; আপনারাও দেশব্যাপী "গণধোলাইয়ের" মিশন ছড়িয়ে দিয়ে বার্তা পৌঁছে দিন:
‌‌‌ ❝চাঁদা নিতে আসলে
চামড়া থাকবে না।❞

আজ এবং এখন থেকে শুরু করুন। মুখ বুজে থাকবেন না। চাঁদাবাজদের হাত প্রসারিত হতে দিবেন না। নতুন কোনও "আঠাখোরকে" আওয়ামী লীগ হতে দিবেন না।

প্রতিবাদ করুন। কাউকে প্রতিবাদ করতে দেখলে সহযোগিতা করুন। সবাই মিলে এগিয়ে আসুন৷ আপাতত তাদের হাতে পরিপূর্ণ রাষ্ট্রক্ষমতা না থাকায় তারা খুব বেশি সুবিধা করতে পারবে না। রাষ্ট্রক্ষমতা পাওয়ার আগেই "চাঁদাবাজ আর দুর্নীতিবাজদের" দমন করুন। সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে নিজেরাই উদ্যোগী হোন। সরকারের উপর বসে থাকবেন না।

তালেবান সরকারের একাধিক নীতির বিরোধিতায় ইংল্যান্ডের রাজনীতিবিদদের একাংশ আফগানিস্তানকে বয়কটের ডাক দিয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন নাইজেল ফারাজ, জেরেমি করবিন, লর্ড কিনকের মতো নেতারা। তালেবান প্রশাসন নারীদের মানবাধিকার খর্ব করছে এমন অভিযোগ তুলে তারা জানিয়েছেন, তালেবান প্রশাসনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিক ইসিবি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ বয়কট করা উচিৎ।

(এতে তালেবানের খুব ক্ষতি হয়ে যাবে গো)