সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের টঙ্গি ইন্সিডেন্ট নিয়ে কিছু পোস্ট ঘুরে বেড়াচ্ছে ফেসবুকে। ভাবলাম এটা নিয়ে একটু ঘাটাঘাটি করি। হুমায়ুন আহমেদ এর দেয়াল উপন্যাস না ঘেঁটে সরাসরি Bangladesh Legacy of Blood by Anthony Mascarenhas (1986) নিয়ে বসলাম।(লিংক কমেন্টে)
Directly quote করতেছি বই এর ৬৫ নাম্বার পেইজ থেকে(পুরানো ভার্শনের ৪৮ নাম্বার পেইজ, দুইটাই লিংক কমেন্টে)। একটু মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। নিচে আক্ষরিক বাংলা অনুবাদ ও দিচ্ছি।
Page 65(old 48)
#########
One day during a combing operation in the Tongi area north of Dhaka, Major Nasser who was commanding another squadron of the Bengal Lancers, arrested three smalltime thugs. In the course of interrogation one of the men broke down and told the army
officers a story about a particularly gruesome triple murder which had rocked Tongi the previous winter. It transpired that a newly married couple travelling to their home in a taxi had been waylaid on the outskirts of the town. The bridegroom and the taxi driver were hacked to death and their bodies thrown in the river. The bride, who was carried off to an isolated cottage, was repeatedly raped by her abductors. Three days later her mutilated body was found on the road near a bridge.
Confessing to his part in the crime, the thug told the army men the police investigation
was called off when they found that the ring-leader of the gang was his boss, Muzamil, chairman of the Tongi Awami League. According to Farook the confession so infuriated
the interrogating officer, a boyish lieu-tenant named Ishtiaq who has since resigned and left the country, that 'he started kicking the chap so hard that he died of internal
injuries.'
Muzamil himself was taken by Major Nasser to Dhaka for prosecution after he had confirmed from police records that the thug had been telling the truth. According to Farook, Muzamil offered Nasser 300,000 Takkas for his release. 'Don't make it a public affair,' the Awami Leaguer advised him. 'You will anyway have to let me go, either today or tomorrow. So why not take the money and forget about it?' Nasser, who was affronted by this blatant attempt to bribe him, swore he would bring Muzamil to trial and make him hang for his crime. He handed him over to the civil authorities. Farook said they were all astonished a few days later to find that Muzamil had been released on Sheikh Mujib's direct intervention. 'I told you to take the money.' Muzamil crowed. 'You would have been the gainers. Now I have been released anyway and you get
nothing.'
#########
বাংলা অনুবাদঃ
#########
ঢাকার উত্তরে টঙ্গী এলাকায় একদিন চিরুনি অভিযান চালানোর সময়, বেঙ্গল ল্যান্সার্সের আরেকটি স্কোয়াড্রনের কমান্ডার মেজর নাসের তিনজন ছোটখাট অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেন। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তাদের একজন ভেঙে পড়ে এবং সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের এক ভয়াবহ ত্রৈত হত্যাকাণ্ডের গল্প বলে, যা আগের শীতকালে টঙ্গীতে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছিল।
ঘটনাটি ছিল এমন যে, সদ্য বিবাহিত এক দম্পতি ট্যাক্সিতে করে তাদের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিলে শহরের উপকণ্ঠে তাদের পথরোধ করা হয়। বর ও ট্যাক্সি চালককে কুপিয়ে হত্যা করা হয় এবং তাদের মৃতদেহ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। নববধূকে অপহরণকারীরা একটি নির্জন কুটিরে নিয়ে যায় এবং বারবার ধর্ষণ করে। তিন দিন পর, তার বিকৃত দেহ একটি সেতুর পাশে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এই অপরাধে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে সেই অপরাধী সেনা কর্মকর্তাদের জানায় যে, পুলিশের তদন্ত থেমে গিয়েছিল যখন তারা জানতে পারে যে এই চক্রের প্রধান ছিলেন তার বস, টঙ্গী আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান মুজামিল। ফারুকের মতে, এই স্বীকারোক্তি তদন্তকারী কর্মকর্তাকে এতটাই ক্ষুব্ধ করেছিল যে, তিনি অপরাধীকে এত জোরে লাথি মারতে থাকেন যে অভ্যন্তরীণ আঘাতে তার মৃত্যু হয়। এই তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন একজন যুবক লেফটেন্যান্ট, যার নাম ইশতিয়াক, যিনি পরবর্তীতে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে যান।
এরপর মেজর নাসের পুলিশ রেকর্ড দেখে নিশ্চিত হন যে অপরাধী সত্য বলছিল, এবং তারপর তিনি নিজেই মুজামিলকে গ্রেপ্তার করে বিচারের জন্য ঢাকায় নিয়ে যান। ফারুকের ভাষ্যমতে, মুজামিল নাসেরকে তার মুক্তির বিনিময়ে ৩,০০,০০০ টাকা ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব দেন। মুজামিল তাকে বলেন, 'এটি প্রকাশ্যে আনবেন না। আপনাকে আজ হোক বা কাল আমাকে ছেড়েই দিতে হবে। তাহলে কেন টাকা নিয়ে বিষয়টি ভুলে যাচ্ছেন না?'
