অনেকে বলেন যে আগস্ট থেকে ইউটিউবে খবর দেখা বেড়ে গিয়েছে। এর ফলে সময় নষ্ট হচ্ছে, মনোযোগ থাকছে না। অনেকে নিউজের জন্য ইউটিউবে ঢুকলেও এরপর আর বিষয়টা শুধু নিউজ দেখাতে সীমাবদ্ধ থাকছে না। এর থেকে কিভাবে নিজেকে বের করা যাবে?
▪️আগস্ট থেকে নিউজ দেখাতে সময় দেয়া অনেক ভালো মানুষেরও বেড়ে গিয়েছিল। তখন একটা সময় কিছুদিন, কিছু পরিমাণে সেটা জরুরি ছিল।
▪️এরপর যা চলছে, এটা কিন্তু একটি প্রক্রিয়ার অংশ। এটা নিয়ে সারাদিন নিউজ দেখে আমরা কোনো পরিবর্তন আনতে পারব না। কী চলছে এটা জানা যদি উদ্দেশ্য হয়- সেটা নিউজ না দেখেও জানা সম্ভব। সম্ভবত এমন কোনো বাসা এখন নেই যেখানে পুরুষেরা জানেন না দেশের পরিস্থিতি কী। তাদের থেকে জেনে নেয়া যায় সার্বিক পরিস্থিতি। সেটা সম্ভব না হলেও অন্য কোনো মানুষের থেকে জেনে নেয়া যায়। অনেক টক শো, অনেক থিওরি দেখে আপনি-আমি কী করবো?
▪️ আজকে যদি আমরা মারা যাই, এই দেশ, টক শো সবই নিজের মত চলবে। তাহলে এখন কেন এসব জীবনের এতখানি জায়গা নিবে যে আখিরাত ভুলে যাবো?
▪️শয়তানের প্রকৃতি হলো সে একটা খারাপে মানুষকে দেখে সন্তুষ্ট হয়না। চেষ্টা করে আরো খারাপে নিয়ে যেতে। তাই বিষয়টা শুধু নিউজ দেখাতে সীমাবদ্ধ থাকে না অনেকের জন্য। থাম্বনেইল এ আসা ড্রামা/সিরিয়ালের সাজেশন, শর্টস এ দেখা মুভির ক্লিপ এসবে চলে যায়। একটা থেকে আরেকটায়।
শুধু যদি নিউজে সীমাবদ্ধ থাকে বিষয়টা কারো জন্য, তারপরও সেখানে সময় নষ্টের বিষয়টা থাকে। জরুরি কাজ পিছিয়ে যাওয়া, দ্বীনি পড়ালেখায় মন না বসা, ইবাদতে তাড়াহুড়া হওয়া এসব হতে পারে। আর নিউজে আসা মিউজিক, বিজ্ঞাপনের হারাম কনটেন্ট- এসব তো আছেই।
এর থেকে পরিত্রাণের উপায় কী?
আমরা সচেতন হয়ে থাকলে এসবের সমস্যা নিজেরাই বুঝি। তাহলে সত্যিই মন থেকে চেষ্টা করতে হবে নিজেদের এই অভ্যাস থেকে মুক্ত করার।
▫️সালাতে মনোযোগ বাড়াতে হবে। সালাতে মানুষকে খারাপ কাজ থেকে, অশ্লীলতা থেকে দূরে রাখে। আযানের উত্তর দেয়া। সুন্দর করে অজু করা। সময়মত সালাত আদায় করা, সালাতের রোকন, ফরয এবং সুন্নাহ কাজগুলো আদায়ে মনোযোগী হওয়া। ফরয সালাতের আগের/পরের সুন্নাহ গুলো পড়া। সালাতের পরের যিকির শান্ত হয়ে বসে পড়া। মন যতই ইউটিউবে ছুটে যাওয়ার জন্য অস্থির হোক, তাকে বেঁধে রাখা, শাসন করা যে, সালাতে কোনো তাড়াহুড়া হবে না।
▫️সকাল ও বিকালের যিকির নিয়মিত পড়া। কী পড়ছি সেটা বুঝতে চেষ্টা করা।
▫️আল্লাহর কাছে দোয়া করা। অনুনয় করা যেন তিনি এই বদঅভ্যাস দূর করে দেন। যেন তিনি দৃঢ় করেন। এক্ষেত্রে সাজদায় দোয়া গুলো পড়া যায়।
▫️কুরআন পড়া। আপনি কুরআন স্টুডেন্ট হলে আপনার জন্য এটা সহজ। আপনি কেন অযথা কাজে সময় দিবেন? কত রিভিশন দেয়ার আছে, কত কী পড়ার আছে? আপনি কুরআন স্টুডেন্ট না হলে ভাবুন, কুরআন পড়া ঠিক করার সময়গুলো কিসে যাচ্ছে? কুরআনের চাইতে ভালো কিছুতে অবশ্যই না। আমরা কি এভাবে সময় নষ্ট করতে পারি?
▫️ সাধারণত ফ্রি সময়ে মানুষ এসব নিয়ে বসে। রাতের খাওয়া শেষ হলে। বিকালের অবসরে। সেই সময়টায় অন্য কিছু করতে চেষ্টা করা। একটা লেকচার শুনতে চেষ্টা করা। অথবা ইউটিউবের থেকে অনেক দূরে থেকে কিছু করা। যেমন কাপড় গুছানো। নাস্তা বানানো। ফার্নিচার পরিষ্কার করা। দৈনন্দিন কাজ যেগুলো না করে খালি ইউটিউব নিয়ে বসতে মন চায়। সেসব করা। শুরু করতে ইচ্ছা না করলেও দেখবেন করার পর ভালো লাগছে। কাজ জমে নাই। মাথায় প্রেসার লাগছে না। যেহেতু কাজ থেকে মন পালাতে চাইছে না, তখন ইউটিউব ছাড়াও অন্য কিছু করতে মন চাইবে।
▫️কেউ বলতে পারেন যে তিনি সালাত ঠিকমত পড়েন, বাসার কাজও করেন। তারপরও আসক্তি যাচ্ছে না। তার অর্থ হলো তার জীবনে ফ্রি টাইম অনেক বেশি। বাসার কাজ করে, শান্তিমত ইবাদত করে, বাসার মানুষকে সময় দিয়ে, আত্মীয়দের খোঁজ নিয়েও যদি আপনার ইউটিউব নিয়ে সময় ব্যয় করার মত সময় থাকে, আপনার উচিত হবে কোনো উপকারী কোর্স এ ভর্তি হওয়া। কারণ সেই সময় আপনার আছে। সেই সময়কে ভালো কাজে না লাগালে শয়তান এসে সেই সময়টা ছিনিয়ে নিবে। ইউটিউব দিয়ে না হলে অন্য কিছু দিয়ে।
🔳আপনার আসক্তি যেটাই হোক, এভাবে চেষ্টা করে দেখুন। একাউন্ট গুলো মুছে দিন, অ্যাপ গুলোও। দরকারে কোনো একাউন্ট রাখতে হলে অ্যাপ uninstall করে রাখুন। যখন লাগবে নামিয়ে কাজ শেষ করে আবার মুছবেন।
এই জীবনটা পুরাটা জুড়েই আমাদের শয়তানের সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করা আছে। যেই জানালা দিয়ে সে ঢুকতে চায়, সেটাকেই বন্ধ করুন।
▪️আগস্ট থেকে নিউজ দেখাতে সময় দেয়া অনেক ভালো মানুষেরও বেড়ে গিয়েছিল। তখন একটা সময় কিছুদিন, কিছু পরিমাণে সেটা জরুরি ছিল।
▪️এরপর যা চলছে, এটা কিন্তু একটি প্রক্রিয়ার অংশ। এটা নিয়ে সারাদিন নিউজ দেখে আমরা কোনো পরিবর্তন আনতে পারব না। কী চলছে এটা জানা যদি উদ্দেশ্য হয়- সেটা নিউজ না দেখেও জানা সম্ভব। সম্ভবত এমন কোনো বাসা এখন নেই যেখানে পুরুষেরা জানেন না দেশের পরিস্থিতি কী। তাদের থেকে জেনে নেয়া যায় সার্বিক পরিস্থিতি। সেটা সম্ভব না হলেও অন্য কোনো মানুষের থেকে জেনে নেয়া যায়। অনেক টক শো, অনেক থিওরি দেখে আপনি-আমি কী করবো?
▪️ আজকে যদি আমরা মারা যাই, এই দেশ, টক শো সবই নিজের মত চলবে। তাহলে এখন কেন এসব জীবনের এতখানি জায়গা নিবে যে আখিরাত ভুলে যাবো?
▪️শয়তানের প্রকৃতি হলো সে একটা খারাপে মানুষকে দেখে সন্তুষ্ট হয়না। চেষ্টা করে আরো খারাপে নিয়ে যেতে। তাই বিষয়টা শুধু নিউজ দেখাতে সীমাবদ্ধ থাকে না অনেকের জন্য। থাম্বনেইল এ আসা ড্রামা/সিরিয়ালের সাজেশন, শর্টস এ দেখা মুভির ক্লিপ এসবে চলে যায়। একটা থেকে আরেকটায়।
শুধু যদি নিউজে সীমাবদ্ধ থাকে বিষয়টা কারো জন্য, তারপরও সেখানে সময় নষ্টের বিষয়টা থাকে। জরুরি কাজ পিছিয়ে যাওয়া, দ্বীনি পড়ালেখায় মন না বসা, ইবাদতে তাড়াহুড়া হওয়া এসব হতে পারে। আর নিউজে আসা মিউজিক, বিজ্ঞাপনের হারাম কনটেন্ট- এসব তো আছেই।
এর থেকে পরিত্রাণের উপায় কী?
আমরা সচেতন হয়ে থাকলে এসবের সমস্যা নিজেরাই বুঝি। তাহলে সত্যিই মন থেকে চেষ্টা করতে হবে নিজেদের এই অভ্যাস থেকে মুক্ত করার।
▫️সালাতে মনোযোগ বাড়াতে হবে। সালাতে মানুষকে খারাপ কাজ থেকে, অশ্লীলতা থেকে দূরে রাখে। আযানের উত্তর দেয়া। সুন্দর করে অজু করা। সময়মত সালাত আদায় করা, সালাতের রোকন, ফরয এবং সুন্নাহ কাজগুলো আদায়ে মনোযোগী হওয়া। ফরয সালাতের আগের/পরের সুন্নাহ গুলো পড়া। সালাতের পরের যিকির শান্ত হয়ে বসে পড়া। মন যতই ইউটিউবে ছুটে যাওয়ার জন্য অস্থির হোক, তাকে বেঁধে রাখা, শাসন করা যে, সালাতে কোনো তাড়াহুড়া হবে না।
▫️সকাল ও বিকালের যিকির নিয়মিত পড়া। কী পড়ছি সেটা বুঝতে চেষ্টা করা।
▫️আল্লাহর কাছে দোয়া করা। অনুনয় করা যেন তিনি এই বদঅভ্যাস দূর করে দেন। যেন তিনি দৃঢ় করেন। এক্ষেত্রে সাজদায় দোয়া গুলো পড়া যায়।
▫️কুরআন পড়া। আপনি কুরআন স্টুডেন্ট হলে আপনার জন্য এটা সহজ। আপনি কেন অযথা কাজে সময় দিবেন? কত রিভিশন দেয়ার আছে, কত কী পড়ার আছে? আপনি কুরআন স্টুডেন্ট না হলে ভাবুন, কুরআন পড়া ঠিক করার সময়গুলো কিসে যাচ্ছে? কুরআনের চাইতে ভালো কিছুতে অবশ্যই না। আমরা কি এভাবে সময় নষ্ট করতে পারি?
▫️ সাধারণত ফ্রি সময়ে মানুষ এসব নিয়ে বসে। রাতের খাওয়া শেষ হলে। বিকালের অবসরে। সেই সময়টায় অন্য কিছু করতে চেষ্টা করা। একটা লেকচার শুনতে চেষ্টা করা। অথবা ইউটিউবের থেকে অনেক দূরে থেকে কিছু করা। যেমন কাপড় গুছানো। নাস্তা বানানো। ফার্নিচার পরিষ্কার করা। দৈনন্দিন কাজ যেগুলো না করে খালি ইউটিউব নিয়ে বসতে মন চায়। সেসব করা। শুরু করতে ইচ্ছা না করলেও দেখবেন করার পর ভালো লাগছে। কাজ জমে নাই। মাথায় প্রেসার লাগছে না। যেহেতু কাজ থেকে মন পালাতে চাইছে না, তখন ইউটিউব ছাড়াও অন্য কিছু করতে মন চাইবে।
▫️কেউ বলতে পারেন যে তিনি সালাত ঠিকমত পড়েন, বাসার কাজও করেন। তারপরও আসক্তি যাচ্ছে না। তার অর্থ হলো তার জীবনে ফ্রি টাইম অনেক বেশি। বাসার কাজ করে, শান্তিমত ইবাদত করে, বাসার মানুষকে সময় দিয়ে, আত্মীয়দের খোঁজ নিয়েও যদি আপনার ইউটিউব নিয়ে সময় ব্যয় করার মত সময় থাকে, আপনার উচিত হবে কোনো উপকারী কোর্স এ ভর্তি হওয়া। কারণ সেই সময় আপনার আছে। সেই সময়কে ভালো কাজে না লাগালে শয়তান এসে সেই সময়টা ছিনিয়ে নিবে। ইউটিউব দিয়ে না হলে অন্য কিছু দিয়ে।
🔳আপনার আসক্তি যেটাই হোক, এভাবে চেষ্টা করে দেখুন। একাউন্ট গুলো মুছে দিন, অ্যাপ গুলোও। দরকারে কোনো একাউন্ট রাখতে হলে অ্যাপ uninstall করে রাখুন। যখন লাগবে নামিয়ে কাজ শেষ করে আবার মুছবেন।
এই জীবনটা পুরাটা জুড়েই আমাদের শয়তানের সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করা আছে। যেই জানালা দিয়ে সে ঢুকতে চায়, সেটাকেই বন্ধ করুন।