Reflections


Kanal geosi va tili: Hindiston, Hindcha
Toifa: Din


Ustaza Nayla Nuzhat’s Telegram Channel
🍃কমেন্টের ক্ষেত্রে অনুগ্রহ করে ইসলামী বিধিনিষেধ মেনে চলুন🍃
🚫অনুগ্রহ করে মাস'আলা জিজ্ঞেস করবেন না

Связанные каналы  |  Похожие каналы

Kanal geosi va tili
Hindiston, Hindcha
Toifa
Din
Statistika
Postlar filtri


অন্যের জীবনের নিয়ামত কী কী খুঁজে বের না করার অভ্যাস করুন। কার কী আছে, কে কত ভালো আছে- কী দরকার জেনে? যে যেমনই আছে, হায়াতুদ দুনিয়ার জ্বালা যন্ত্রণা নিয়েই আছে। দুইটা মানুষের নিয়ামত এক রকম হয়না, জীবনের পরীক্ষা গুলোও তো ভিন্ন হয়। শুধু শুধু তুলনা করে কেন নিজে কষ্ট পাওয়া আর অন্যকে নিজের হিংসা দিয়ে আঘাত করা? বরং নিজের জীবনে কী কী নিয়ামত আছে খুঁজুন। তাহলে মন থেকে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা আসবে ইন শা আল্লাহ।


মুসলিম হিসেবে আমাদের কাছে প্রতিটা দিন গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটা দিন নিজেকে উন্নত করার সুযোগ। আর প্রতি বছর ঘুরে আসে এরকম উৎসব আমাদের শুধু দুইটা- দুই ঈদ। এর বাইরে যা কিছু ঘুরে ঘুরে আসছে, বছরের শুরু, জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী, মৃত্যুদিবস, সব মূল্যহীন। এসব করার মাঝে কাফিরদের অনুসরণ ও আছে। আর করার সময় যেই গুনাহ গুলো হয় সেসব তো আছেই।(এই অনুষ্ঠান গুলো করা হারাম)

"পালন করি না শুধু উইশ করি":

কোনো কিছুতে "উইশ" করা মানে সেটা সমর্থন করা। আর "উইশ" করা মানে কী?

এগুলো শুধু কথার কথা না যা কেউ বলে চলে যায়। এগুলো কোনো বিশেষ দিন/কালচার কে বৈধতা দেয়। সেই আইডিয়াকে সমর্থন করে। যেই আইডিয়ার সাথে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। সেই কালচার যার উৎপত্তি অন্য ধর্ম। (তাই এসবে উইশ করাও হারাম)

মানুষ মাইন্ড করবে:
করুক। কিয়ামতের দিন তো মা পর্যন্ত বাচ্চাকে দেখবে না। এরা কেউ সেদিন কোনো কাজে আসবে না। তাহলে শুধু শুধু তাদের "মাইন্ড" ভেবে আখিরাতের ক্ষতি কেন করবো?

অন্যভাবে ভাবুন:
নতুন বছর শুরু হলে কী হয়? কিছুই হয়না। জীবনের একটা দিন মাত্র। যা আসে আর দ্রুত শেষ হয়ে যায়। এত দ্রুত, যে কবে গত বছর শেষ হয়ে এই বছর এসেছিল, আর শেষ ও হয়ে গেল মনে পড়ছে না। এভাবে আমাদের জীবনটাই শেষ হয়ে যাবে, যেই জীবনের সৃষ্টি হয়েছিল শুধু আল্লাহর ইবাদত করার জন্য। গুনাহের কাজে, ভুল কাজে, কাফিরদের অনুসরণে, হারাম কাজে কাটানোর মত সময় আমাদের সত্যিই নেই। সময় সুযোগ থাকতেই আমরা যেন সেকথা বুঝতে পারি।


গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানটি হিন্দুদের বিয়ের এমন একটি অনুষ্ঠান যার সাথে ধর্মীয় বিষয়বস্তু জড়িত। এটা জানার পরও সেসব অনুষ্ঠানে কেন যায় কেউ? আত্মীয়রা কী মনে করবেন, তাই। এই আত্মীয়রা কিয়ামতের দিন পাশে থাকবে না।

পর্দা নিয়ে একজন মুরুব্বী বকা দিচ্ছেন ছোট একটা মেয়েকে। এত পর্দার কী দরকার? তারপর বলছেন "আমরা চাইলেও পারবো না- সবাই কী মনে করবে?"
এই "সবাই" কিয়ামতের দিন পাশে থাকবে না।

জন্মদিন পালনের উৎপত্তি অন্য ধর্মে। জেনেও উইশ করছেন কেউ। নাহলে কী মনে করবে?

বিভিন্ন "দিবস" পালন ইসলামের সাথে যায় না।তারপরও সেসব দিনের নির্ধারিত রঙগুলো পরছেন কেউ। সবাই নাহলে কী মনে করবে? এই সবাই কিয়ামতের দিন পাশে থাকবে না।

কখনো যদি "সবাই" কে প্রাধান্য না দিয়ে আমরা "আল্লাহ আমাকে দেখছেন" - এটাকে প্রাধান্য দেই? দেখবো এই বিষয়গুলো থেকে দূরে থাকা সহজ হচ্ছে ইন শা আল্লাহ ।

‘আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল ﷺ বলেছেন:

“যে ব্যক্তি মানুষকে অসন্তুষ্ট করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অন্বেষণ করে, মহান আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে যান এবং মানুষকেও তার প্রতি সন্তুষ্ট করে দেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহকে অসন্তুষ্ট করে মানুষের সন্তুষ্টি অন্বেষণ করে, মহান আল্লাহ তার প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে যান এবং মানুষকেও তার প্রতি অসন্তুষ্ট করে দেন।”

(সহীহ ইবন হিব্বান, ভলিউম ২, হাদীস ২৭৬। শায়খ আলবানির মতে হাদীসটি সহীহ।)


কেউ বলছে আল্লাহর ছেলে আছে, আর আপনি তাকে তার অনুষ্ঠানের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। এটা আপনার কাছে উদারতা? আর আল্লাহ, যিনি সমস্ত ত্রুটি আর দুর্বলতার উর্দ্ধে, তাঁকে নিয়ে এমন একটা কথা আপনার গায়ে লাগলো না। নিজেকে "উদার" দেখাতে যেয়ে, নিজের ঈমান বিক্রি করে দিলেন।

মুসলিম হওয়া মানেই শিরক থেকে দূরে থাকা- একমাত্র আল্লাহই রব- এটা অন্তর দিয়ে, কথা দিয়ে, কাজ দিয়ে মানা। মানা তিনি ছাড়া আর কোনো সত্য উপাস্য নেই। এখন ওরা মানে যে আল্লাহর সন্তান আছে- আপনি মানেন না সেটা, খালি ওদের এই মানাটায় শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন- এই কথাটার কোনো মানে আছে?

মুসলিমদের নিজের মত চলার উপায় নেই- চলার কথা আল্লাহর মত। আর আল্লাহ এই বিষয়টি নিয়ে বলেছেন:

"আর তারা বলে, ‘দয়াময় সন্তান গ্রহণ করেছেন।’

তোমরা তো এমন এক বীভৎস বিষয়ের অবতারণা করছ;

যাতে আসমানসমূহ বিদীর্ণ হয়ে যাবার উপক্রম হয়, আর যমীন খণ্ড-বিখণ্ড হবে এবং পর্বতমণ্ডলী চুর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে আপতিত হবে"


(সূরা মারিয়াম: ৮৮-৯০)

এখন ক্রিসমাস উইশ করে, সেইসব ফটোতে লাইক দিয়ে, লাভ দিয়ে, উদারতা দেখাতে প্রয়োজনে বাসাটা ক্রিসমাসের জন্য সাজিয়ে, সন্তানকে ক্রিসমাসের "কালচার" শিখিয়ে আপনি সেটা করছেন যার কারণে আসমান জমিন বিদীর্ণ হওয়ার উপক্রম হয়। অথচ আপনার "নামে মুসলিম" হৃদয় একটু কাঁপেও না।

এরপরও নিজেকে বলবেন যে আপনি মুসলিম, মুমিন, আর ঈদের সময় ঈদও করবেন, পূজার সময় পূজা।

আল্লাহ কি আপনার প্রাইভেট প্রপার্টি নাকি যে যা বলবেন সেটাই "ইসলাম" হতে হবে? ঈমান আছে এই দাবি যদি থাকে- তাহলে চেষ্টা করুন নিজেকে আর নিজের পরিবারকে এই সমস্ত শিরক, কুফরী থেকে দূরে রাখতে।

-জানা নেই কোনটা শিরক?
জানুন!

-আর ইসলাম এত কঠিন না?
না ভাই, আপনার কথায় তো ইসলাম চলে না। চলে আল্লাহ আর আল্লাহর রাসূলের সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কথায়। কুরআন সুন্নাহ থেকে এনে দেখাবেন কোথায় অন্য ধর্মের কালচার/উৎসব করতে ইসলাম উৎসাহিত করেছে। পাবেন না। নিষেধই করেছে। বার বার। সেটাই পাবেন।

অনেক তো হলো। এবার ছেড়ে দিন শিরক আর কুফরীর সাথে একাত্মতা। আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক করতে দেখেও বুক ভেঙে যায় না- কেমন মুসলিম আপনি?

(ডিসেম্বর ২০২২)


আপনার ব্র্যান্ড কী?

যেদিন জন্মেছিলেন, সেদিন আপনার আর আরেকজন এর মাঝে পার্থক্য এটাই ছিল যে আল্লাহ যার জন্য যেই পরিবার চেয়েছেন, দিয়েছেন।

যেদিন মারা যাবেন, কবরটা "কো...." বা "............" বা অন্য কোনো ব্র্যান্ড এর হবে না। একটাই ব্র্যান্ড তখন: মাটি ব্র্যান্ড। আপনার, আপনার উপরের এবং নিচের সব লেভেলের মানুষের জন্য একই। কারো কবর যদি ব্র্যান্ডেড হতও, তাহলেও তাতে তার কোনো উপকার হত না। এটা তার স্ট্যাটাস আল্লাহর সামনে বৃদ্ধি করতো না।

তাই এই জন্ম আর মৃত্যুর মাঝে যেই জীবন, এটাতে শো অফ এর ধোঁকায় পড়বেন না। আল্লাহ সামর্থ্য দিলে ইসলামের সীমায় থেকে যা কেনা হালাল কিনুন। কিন্তু এগুলো যেন জীবনের অপরিহার্য অংশে পরিণত না হয়- যা দিয়ে নিজের জীবন শো অফ করবেন আর অন্যের জীবন মূল্যায়ণ করবেন।

নিজের "worth" প্রমাণ করতে যদি আপনার "ব্র্যান্ডেড" জিনিস "দেখানো" লাগে, তারমানে আপনার নিজের কাছে নিজের "worth" নাই। তাই এসব তুচ্ছ বিষয় নিয়ে নিজের দাম বাড়ানো লাগছে। অন্যের কাছে নিজেকে "validate" করা লাগছে। এই চক্রের কোনো শেষ নাই। পৃথিবীর সব ব্র্যান্ড কিনে ফেললেও অন্য কারো কাছে সবসময়ই আপনার চাইতে বেশি থাকবে। আর যদি আপনার সবার চাইতে বেশি থাকে সব জিনিস, সেটাও আল্লাহর চোখে আপনাকে আলাদা মর্যাদা দিবে না।

নিজেদের, আর সন্তানদের- ব্র্যান্ড কে বড় করে দেখার অভ্যাস করা থেকে হেফাজত করুন। দিন শেষে এর থেকে হয় অহংকার আসবে, নয়ত অন্তরের অশান্তি। আর শেষ পর্যন্ত কার তাকওয়া বেশি, সেটাই ম্যাটার করবে আল্লাহর কাছে।

--------

(অনেকে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী ভালো জিনিস ব্যবহার করেন। তাতেই তাদেরকে অহংকারী ভাবারও প্রয়োজন নেই। ভালো কিছু ব্যবহার করা মানেই শো অফ না। ভালো কিছু ব্যবহার করে নিজেকে "উপরের স্তরের" ভাবাটা হলো সমস্যা। মোট কথা এটা অন্যকে বিচার করার পোস্ট না। নিজে সতর্ক হওয়ার পোস্ট।)


প্রচণ্ড গরম আর প্রচণ্ড শীত- জাহান্নামের শাস্তির মাঝে দুইটা। কষ্টকর বিষয়। এই পৃথিবীর জীবনেও, তার চাইতে হয়তবা অকল্পনীয় মাত্রায় কম গরম অথবা ঠান্ডায়, আমাদের কষ্ট হয়। তারপর আমরা এসব কথা বলছি আল্লাহর অশেষ রহমতে মাথার উপর ছাদ আছে এমন অবস্থায়। এই নিয়ামত অনুধাবন করা আর এর শুকরিয়া আদায় করা- কোনোটাই আমরা ঠিকমত করতে পারি না।

সবাই বলে, ঠান্ডা কবে আসবে। যেন পিকনিক। ওদিকে গাজা, সিরিয়া, এবং মাথার উপর ছাদ নাই এমন সমস্ত স্থানের মুসলিম ভাই/বোনদের জীবন এই সময় কেমন হয় আমরা হয়ত কল্পনা করতে পারি না। সেসব থাক, আমাদের যার যার গ্রামের অবস্থাই আমরা কল্পনা করতে পারি না। আল্লাহ আরহামুর রাহিমিন। আল্লাহ যেন তাদের জন্য যথেষ্ট হয়ে যান।

আল্লাহই তাদের জন্য যথেষ্ট।

তারপরও, অসহায় ভাই বোনদের স্মরণ রেখে, সবাই যেন সাধ্যমত এই শীতে তাদেরকে সাহায্য করি। গরম পানি, কম্বল আর ছাদের নিয়ামতে ডুবে ভুলে না যাই যে এসব আমাদের প্রাপ্য না। এই সবই আল্লাহর রহমত যা আমাদের জন্য নাও থাকতে পারতো। আমরা যেন আল্লাহর কৃতজ্ঞ বান্দা হতে চেষ্টা করি।


“তাঁর কাছে হাত তুলুন (দোয়া করুন),
তা কখনোই খালি ফিরে আসবে না,
কারণ আপনি সেই সত্তার কাছে প্রার্থনা করছেন,
যিনি শূন্যতা থেকে আপনাকে সৃষ্টি করেছেন।”

~ একটি আরবি কবিতা থেকে নেয়া


“আল্লাহ কোনো বিষয় দেরি করিয়ে দেন, যা (যার হিকমাহ) আপনি জানেন না।

যদি গায়েবের বিষয় প্রকাশ পেত, তবে আপনি সেটাই বেছে নিতেন যা আল্লাহ নির্ধারণ করেছেন।

~ একটি আরবি কবিতা থেকে নেয়া


"তিনি বললেন, ‘আমি আমার অসহনীয় বেদনা, আমার দুঃখ শুধু আল্লাহর কাছেই নিবেদন করছি এবং আমি আল্লাহর কাছ থেকে তা জানি যা তোমরা জান না।"

{সূরা ইউসূফ: ৮৬}

▫️ আল্লাহর কাছে দুঃখ নিবেদন করা ধৈর্যের বিপরীত নয়, বরং ধৈর্যের বিপরীত হলো মানুষের কাছে অভিযোগ করা।▫️

🖊 আস-সা’দি




প্রশ্ন: অনেকে বলেন মানুষকে সৎকাজে আদেশ আর মন্দ কাজে নিষেধ করা অনর্থক নাক গলানো, অন্যের জীবনে। তাই কি? কারণ হাদীসে এসেছে:

আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন ব্যক্তির ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্য হলো অনর্থক আচরণ ত্যাগ করা।
(আত তিরমিযী)

উত্তর: না। যখন শরিয়তের বিধান নিয়ে কথা হয়, সেটা অনর্থক আচরণ না। সেটা অবশ্যই আমাদের "কনসার্ন"। আমরা ভুল দেখলে, প্রতিহত করতে হবে।

আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেছেন:

“তোমাদের মধ্যে যে অন্যায় দেখবে সে যেন তা তার হাত দিয়ে বাধা দেয় আর যদি হাত দিয়ে বাধা না দিতে পারে তবে যেন মুখ দিয়ে বাধা দেয়, আর যদি মুখ দিয়ে বাধা না দিতে পারে তবে যেন অন্তর দিয়ে বাধা দেয়, আর এটি হলো দুর্বল ঈমানের পরিচয়।”

(সহীহ মুসলিম: ৪৯)

বরং প্রশ্ন করা হবে সেই ভুলের জন্য যা চোখের সামনে সংঘটিত হয়েছে এবং তা প্রতিহত করার চেষ্টা করা হ‍য়নি।

~ শায়খ আব্দুল করিম আল খুদাইর হাফিজাহুল্লাহ এর লেকচার থেকে, সারমর্ম অনুবাদ করা হয়েছে।

https://t.me/A_Alkhudhair/20041


আমাদের প্রিয় "With the Qur‘an" চ্যানেল এখন Whatsapp এও থাকছে ইন শা আল্লাহ।

ফেসবুক এর পেজটি বন্ধ করে দেয়ার পর আমাদের শুধু টেলিগ্রামে চ্যানেল ছিল। অনেকেই টেলিগ্রাম ব্যবহার করেন না। তাই এখন থেকে এই চ্যানেল Whatsapp এও থাকবে, টেলিগ্রামের পাশাপাশি।

https://whatsapp.com/channel/0029VanGhQtD38CXd6q4nJ0B


Scholarly Subtitles dan repost
Video oldindan ko‘rish uchun mavjud emas
Telegram'da ko‘rish
This Has Never Occurred Before in the Past! Shaykh 'Abdurrazzāq al-Badr حفظه الله


টিনএজারদের গ্রুপে যখনই উপদেশ দেই বাবা মায়ের সাথে যেকোনো সমস্যা নিয়ে পরামর্শ করার, এই একটা জায়গায় এসে থমকে যাই। বাবা মায়েরা কি সন্তানদের সেই সুযোগ দেন?

কয়জন বাবা/মা সন্তানকে এই আশ্বাস দিতে পেরেছেন যে তুমি যত বড় ঝামেলায় পড়, যত বড় ভুল করো, আমার কাছেই এসে বলবে? বাইরের মানুষকে না, বন্ধু বান্ধবকে না যারা হয়ত আরো বিভ্রান্ত করবে তাদেরকে?

অনেক পরিবারে আবার এটা করতে গিয়ে সন্তানকে যা খুশি করার অধিকার দিয়ে রাখে। সেটাও ভুল। আপনি জেনে বুঝে থাকে হারাম করতে দিবেন কেন?

মাঝামাঝি ব্যালেন্স করতে পারা শেখা জরুরি। সঠিক পথ দেখানো, হারাম থেকে বিরত রাখা জরুরি। সেই সাথে জরুরি এমন একটা কমিউনিকেশন রাখার যেন বাচ্চার জীবনে কী চলছে এটা বাবা মায়ের জানা থাকে। কোনো বিপদে পড়লে বাচ্চারা জানে প্রথম মানুষ যার কাছে সে যাবে হচ্ছে তার মা অথবা বাবা।

এটা কিভাবে করবেন?

- কথোপকথনের অভ্যাস থাকতে হবে। আলোচনা। মত বিনিময়। ওদের মনে কী আছে না জানলে সমাধান দিবেন কিভাবে?

- আপনার নিজের স্বভাব এমন হতে হবে যে আপনার moral values এর উপর ওদের আস্থা থাকে। ওরা জানবে আপনি মিথ্যা বলবেন না। আপনি কথা রাখবেন। আপনি ভনিতা করবেন না। এটা ওরা কিভাবে জানবে? বাবা মায়ের নিজেদের সম্পর্ক দেখে। এবং অন্যদের সাথে বাবা মায়ের আদান প্রদান দেখে।

- আপনার স্বভাব সুন্দর হলে আপনি যখন তাদেরকে বলবেন যে যেকোনো কঠিন পরিস্থিতিতে আপনার কাছে আসতে, ওরা সেটা বিশ্বাস করবে। বিশ্বাস করবে আপনার কাছে তখন আসলে আপনি সব কিছুর আগে তাদেরকে স্পেস দিবেন নিজের পরিস্থিতি বলার। আপনি বুঝবেন।

- কথা দিলে, কথা রাখতে হবে। অভয় দিলে, ভয় দেখানো যাবে না। এখন কোনো মা যদি বলে "বলো কী হয়েছে, আমি বকবো না।" আর শোনার সাথে সাথে বলে "কী, এসব করে এসেছ না?" তাহলে নিশ্চিন্ত থাকুন সন্তান আপনাকে ভবিষ্যতে আর বিশ্বাস করবে না।

এখন সন্তান কুকর্ম করে আসলে কি শাসন করবেন না? অবশ্যই করবেন। জন্ম থেকে শেখাতে থাকবেন আল্লাহর সীমা। পরিবেশ দিবেন। আর কুকর্ম করে এসে আপনাকে কেন বলছে সেটা বুঝবেন- বলছে সাহায্যের জন্য। অনুশোচনা আছে তাই বলছে। তখন সেখান থেকে বের হওয়ার পথ দেখান। ডুবে যাওয়ার পথ না।

এই যে বিশ্বাস তৈরি করা, কথোপকথনের অভ্যাস করা, এসব ছোট বেলা থেকেই করতে হয়। আর সেটা যদি করা না হয়ে থাকে, এখনও করতে চেষ্টা করুন। "আমি কথা খুঁজে পাই না" অথবা "আমার এত আহ্লাদী করতে ভালো লাগে না" এসব বলবেন না। আপনি মা মানে আপনার ভূমিকা অনেক বড়। সেই ভূমিকা পালনের যোগ্য নিজেকে করে তুলতে হবে। আপনি কথা না শুনলে, অন্য কেউ শুনবে এবং ভুল পথ দেখাবে, এই বিষয়ে নিশ্চিত থাকুন।

(
লেখাটি প্রাইভেট গ্রুপে শেয়ার করা হয়েছিল। On request এখানে দেয়া হলো।)


রামাদানের প্রস্তুতি নিয়ে লেখা থাকবে উইথ দ্যা কুরআন চ্যানেলে। ইন শা আল্লাহ।

https://t.me/WiththeQuran


With the Qur'an dan repost
রামাদানের প্রস্তুতি ১

এই প্রসঙ্গে কথা এবার বেশি আগে শুরু হয়ে গেল তাই না?

গত রামাদানের পর অনেকে জানিয়েছিলেন মোবাইল আসক্তির কারণে তাদের রামাদান সুন্দর ভাবে পার হয়নি। অনেক কষ্টের কথা। সারাবছরের অপেক্ষা। আর ঠিক সেই সময়েই পদস্খলন।

তাই মনে হলো এবার একটু আগে থেকেই এই বিষয়ে কথা শুরু হোক।

পদস্খলন কিভাবে হয়?

ইদানিং প্রচুর মানুষের বর্ণনায় যা বুঝা যায়, সেটা হলো ভালো উদ্দেশ্যে স্ক্রল করতে গিয়েও পদস্খলন হয়। কী রকম?

মনে করুন কেউ এমনিই ঢুকেছিল ফেসবুকে অথবা ইনস্টাগ্রামে। ধরুন রান্না দেখতে। একটা ভিডিও শেষ হতে আরেকটা চলে এসেছে। সেটা কোনো মুভির ক্লিপ। না চাইতেও একটু দেখা হয়ে গিয়েছে। হয়ত বর্তমানে চলছে এমন কোনো মুভি বা হঠাৎ trending আগের কোনো মুভির ক্লিপ। বেশ কয়েকবার চোখে পড়লো। কয়েকবার সামনে আসার কারণে নামটাও জানা হয়ে গিয়েছে মুভির। সিন টা ভালো লাগছে। এবার মন চাইলো একটু সার্চ দিয়ে দেখতে। ট্রেলার দেখে আরো ভালো লাগলো। মন চাইলো দেখতে। দেখা হলো। অনুশোচনা হলো। কিন্তু আবার কিছু একটা করতে গিয়ে আরেকটা রিল আসলো। এবার সেটা কোনো ড্রামার দৃশ্য। একটু মুসলিম মুসলিম লাগছে- ভদ্র। "মুসলিমদের" ড্রামা। কিছুক্ষণের জন্য শয়তান ভুলিয়ে দিবে যে, ভদ্র হলেও সেটা অশ্লীলতা। হারাম। এবার ওটা খুঁজে দেখা। এগুলো আবার অল্প দেখায় শেষ হয়ে যায় না। অজস্র পর্ব। এবার অভ্যাস হয়ে গেল দেখার। একটা থেকে আরেকটা। অনুশোচনা এখনও আছে। কিন্তু পাপ থেকে সরে থাকার মজবুত মনটা কেমন দুর্বল হয়ে যাচ্ছে।

গতবার যারা মন খারাপ করে নিজেদের অধঃপতনের বর্ণনা দিয়েছিলেন, এভাবেই দিয়েছেন। কিভাবে একটু একটু করে হারিয়ে ফেলে মানুষ নিজেকে। অতঃপর সালাতে তাড়াহুড়া। সুন্নাহ বাদ দেয়া। কুরআনে সময় না দেয়া। ড্রামা এমন জায়গায় এসে থামলো, যে রামাদানে না দেখলে পর্ব মিস।

এই বিষয়টা থেকে রামাদান এ না শুধু, সবসময়ই সতর্ক হওয়া উচিত।কারণ, মৃত্যুর তো কোনো নির্দিষ্ট মাস নেই!

যাদের এধরনের সমস্যা নেই, তাদের জন্যও কিন্তু সময় নষ্ট এক অনেক বড় সমস্যা। এই অযথা স্ক্রল করার অভ্যাস রামাদানের অনেক অমূল্য মুহূর্ত ছিনিয়ে নেয়।

তাহলে কী করণীয়?

এই একাউন্টগুলো বন্ধ করে দিন। যেকোনো আসক্তির মত প্রথম প্রথম খারাপ লাগবে। তারপর দেখবেন, এসব ছাড়া চলা যায় এবং খুব ভালোই চলা যায়। অ্যাপ মুছে দিন। যেন অন্যমনস্ক হয়ে সেসবে ঢুকতে না পারেন।

এই চেষ্টা এখন থেকে শুরু হোক। ইন শা আল্লাহ আমরা অনেক সুন্দর একটি রামাদান পাবো সামনে।


অনেকে বলেন যে আগস্ট থেকে ইউটিউবে খবর দেখা বেড়ে গিয়েছে। এর ফলে সময় নষ্ট হচ্ছে, মনোযোগ থাকছে না। অনেকে নিউজের জন্য ইউটিউবে ঢুকলেও এরপর আর বিষয়টা শুধু নিউজ দেখাতে সীমাবদ্ধ থাকছে না। এর থেকে কিভাবে নিজেকে বের করা যাবে?

▪️আগস্ট থেকে নিউজ দেখাতে সময় দেয়া অনেক ভালো মানুষেরও বেড়ে গিয়েছিল। তখন একটা সময় কিছুদিন, কিছু পরিমাণে সেটা জরুরি ছিল।

▪️এরপর যা চলছে, এটা কিন্তু একটি প্রক্রিয়ার অংশ। এটা নিয়ে সারাদিন নিউজ দেখে আমরা কোনো পরিবর্তন আনতে পারব না। কী চলছে এটা জানা যদি উদ্দেশ্য হয়- সেটা নিউজ না দেখেও জানা সম্ভব। সম্ভবত এমন কোনো বাসা এখন নেই যেখানে পুরুষেরা জানেন না দেশের পরিস্থিতি কী। তাদের থেকে জেনে নেয়া যায় সার্বিক পরিস্থিতি। সেটা সম্ভব না হলেও অন্য কোনো মানুষের থেকে জেনে নেয়া যায়। অনেক টক শো, অনেক থিওরি দেখে আপনি-আমি কী করবো?

▪️ আজকে যদি আমরা মারা যাই, এই দেশ, টক শো সবই নিজের মত চলবে। তাহলে এখন কেন এসব জীবনের এতখানি জায়গা নিবে যে আখিরাত ভুলে যাবো?

▪️শয়তানের প্রকৃতি হলো সে একটা খারাপে মানুষকে দেখে সন্তুষ্ট হয়না। চেষ্টা করে আরো খারাপে নিয়ে যেতে। তাই বিষয়টা শুধু নিউজ দেখাতে সীমাবদ্ধ থাকে না অনেকের জন্য। থাম্বনেইল এ আসা ড্রামা/সিরিয়ালের সাজেশন, শর্টস এ দেখা মুভির ক্লিপ এসবে চলে যায়। একটা থেকে আরেকটায়।

শুধু যদি নিউজে সীমাবদ্ধ থাকে বিষয়টা কারো জন্য, তারপরও সেখানে সময় নষ্টের বিষয়টা থাকে। জরুরি কাজ পিছিয়ে যাওয়া, দ্বীনি পড়ালেখায় মন না বসা, ইবাদতে তাড়াহুড়া হওয়া এসব হতে পারে। আর নিউজে আসা মিউজিক, বিজ্ঞাপনের হারাম কনটেন্ট- এসব তো আছেই।

এর থেকে পরিত্রাণের উপায় কী?

আমরা সচেতন হয়ে থাকলে এসবের সমস্যা নিজেরাই বুঝি। তাহলে সত্যিই মন থেকে চেষ্টা করতে হবে নিজেদের এই অভ্যাস থেকে মুক্ত করার।

▫️সালাতে মনোযোগ বাড়াতে হবে। সালাতে মানুষকে খারাপ কাজ থেকে, অশ্লীলতা থেকে দূরে রাখে। আযানের উত্তর দেয়া। সুন্দর করে অজু করা। সময়মত সালাত আদায় করা, সালাতের রোকন, ফরয এবং সুন্নাহ কাজগুলো আদায়ে মনোযোগী হওয়া। ফরয সালাতের আগের/পরের সুন্নাহ গুলো পড়া। সালাতের পরের যিকির শান্ত হয়ে বসে পড়া। মন যতই ইউটিউবে ছুটে যাওয়ার জন্য অস্থির হোক, তাকে বেঁধে রাখা, শাসন করা যে, সালাতে কোনো তাড়াহুড়া হবে না।

▫️সকাল ও বিকালের যিকির নিয়মিত পড়া। কী পড়ছি সেটা বুঝতে চেষ্টা করা।

▫️আল্লাহর কাছে দোয়া করা। অনুনয় করা যেন তিনি এই বদঅভ্যাস দূর করে দেন। যেন তিনি দৃঢ় করেন। এক্ষেত্রে সাজদায় দোয়া গুলো পড়া যায়।

▫️কুরআন পড়া। আপনি কুরআন স্টুডেন্ট হলে আপনার জন্য এটা সহজ। আপনি কেন অযথা কাজে সময় দিবেন? কত রিভিশন দেয়ার আছে, কত কী পড়ার আছে? আপনি কুরআন স্টুডেন্ট না হলে ভাবুন, কুরআন পড়া ঠিক করার সময়গুলো কিসে যাচ্ছে? কুরআনের চাইতে ভালো কিছুতে অবশ্যই না। আমরা কি এভাবে সময় নষ্ট করতে পারি?

▫️ সাধারণত ফ্রি সময়ে মানুষ এসব নিয়ে বসে। রাতের খাওয়া শেষ হলে। বিকালের অবসরে। সেই সময়টায় অন্য কিছু করতে চেষ্টা করা। একটা লেকচার শুনতে চেষ্টা করা। অথবা ইউটিউবের থেকে অনেক দূরে থেকে কিছু করা। যেমন কাপড় গুছানো। নাস্তা বানানো। ফার্নিচার পরিষ্কার করা। দৈনন্দিন কাজ যেগুলো না করে খালি ইউটিউব নিয়ে বসতে মন চায়। সেসব করা। শুরু করতে ইচ্ছা না করলেও দেখবেন করার পর ভালো লাগছে। কাজ জমে নাই। মাথায় প্রেসার লাগছে না। যেহেতু কাজ থেকে মন পালাতে চাইছে না, তখন ইউটিউব ছাড়াও অন্য কিছু করতে মন চাইবে।

▫️কেউ বলতে পারেন যে তিনি সালাত ঠিকমত পড়েন, বাসার কাজও করেন। তারপরও আসক্তি যাচ্ছে না। তার অর্থ হলো তার জীবনে ফ্রি টাইম অনেক বেশি। বাসার কাজ করে, শান্তিমত ইবাদত করে, বাসার মানুষকে সময় দিয়ে, আত্মীয়দের খোঁজ নিয়েও যদি আপনার ইউটিউব নিয়ে সময় ব্যয় করার মত সময় থাকে, আপনার উচিত হবে কোনো উপকারী কোর্স এ ভর্তি হওয়া। কারণ সেই সময় আপনার আছে। সেই সময়কে ভালো কাজে না লাগালে শয়তান এসে সেই সময়টা ছিনিয়ে নিবে। ইউটিউব দিয়ে না হলে অন্য কিছু দিয়ে।

🔳আপনার আসক্তি যেটাই হোক, এভাবে চেষ্টা করে দেখুন। একাউন্ট গুলো মুছে দিন, অ্যাপ গুলোও। দরকারে কোনো একাউন্ট রাখতে হলে অ্যাপ uninstall করে রাখুন। যখন লাগবে নামিয়ে কাজ শেষ করে আবার মুছবেন।

এই জীবনটা পুরাটা জুড়েই আমাদের শয়তানের সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করা আছে। যেই জানালা দিয়ে সে ঢুকতে চায়, সেটাকেই বন্ধ করুন।


(নিচের লেখাটি বোনদের উদ্দেশ্যে লেখা ছিল। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে শেয়ার করার সুবিধার্থে এখানে দেয়া হলো)


"সন্তানদের প্রতি অন্ধ ভালোবাসা বাবা/মা কে যেই পরিমাণে বিরত রাখে তাদের (সন্তানদের) আল্লাহর পথ দেখানো থেকে, সেই অনুপাতে কিয়ামতের দিন সন্তানদের সাথে তাদের বাবা/মায়ের শত্রুতা থাকবে।"

~ শায়খ খালিদ আস সাক‘আবি হাফিজাহুল্লাহ


আপনি যাকে ভালোবাসা দেখাবেন, সে কিভাবে সেই ভালোবাসা দেখতে চায় সেটা কিন্তু মাথায় রাখার কথা।

আপনার অতি ভালোবাসার মানুষটার গরুর গোশতে এলার্জি। কিন্তু আপনি চান তাকে সেটাই খাওয়াতে- তাই এলার্জি জেনেও জোর করে তাকে গরুর গোশতই খাওয়াবেন- সেটা কী ভালোবাসা?

এমনিই একটা উদাহরণ দিলাম আরকি।

-----------

আপনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অনেক ভালোবাসেন?

তাঁর অনুসরণ করুন। ইনফ্যাক্ট, আল্লাহকে ভালোবেসে থাকলে তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসরণ করতে হবে। তাঁকে সবচেয়ে বেশি যারা ভালোবাসতেন, তাঁরা কী করতেন বুঝতে হবে। সাহাবা রাদিয়াললাহু আনহুম তাঁর কথা মেনে চলতেন। তিনি যেই দ্বীন শিখিয়ে গিয়েছেন, তাঁরা সেটা আল্লাহর ইচ্ছায় হুবহু হেফাজত করেছেন। কতখানি - সেটা আসলে এই সামান্য লেখায় বুঝানো সম্ভব না- তার জন্য একটু পড়ালেখা করতে হবে। আর হ্যাঁ- আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ হিসেবে তাঁরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্মদিন করেননিআপনি সেটা করার কে?

এটা কি এমনিই করছেন? Happy Birthday যেভাবে করে মানুষ? তাহলে তো শয়তানের পূজারীরা যেই অনুষ্ঠান উদ্ভাবন করেছে সেটা করছেন। নাকি এটা দ্বীন ভেবে করছেন? তাহলে এমন কিছু করছেন যা দ্বীনের অংশ ছিলই না!
আর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলে গিয়েছেন:

যে ব্যক্তি আমার এই দ্বীনে (নিজের পক্ষ থেকে) কোন নতুন কথা উদ্ভাবন করল---যা তার মধ্যে নেই, তা প্রত্যাখ্যানযোগ্য।” (বুখারী ২৬৯৭, মুসলিম ৪৫৮৯নং)

যেই উৎসব আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পালন করেননি, তাঁর সাহাবারা যারা তাঁকে জীবন দিয়ে ভালোবাসতেন তাঁরা করেননি- সেই উৎসব করে দ্বীনকে অপমান করা ছাড়া আর কী হচ্ছে? আর এটা কেমন ভালোবাসা যা দ্বীনের মাঝে নতুন কিছু সংযোজন করার মাধ্যমে দেখানো হচ্ছে? প্রত্যাখ্যান যোগ্যকে সাদরে পালন করে কী ভালোবাসা দেখানো হচ্ছে? এই ভালোবাসা কি সেই ভালোবাসা, যা দেখানোর কথা? এটা কি আদৌ ভালোবাসা??

আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মদিন পালনের কোনো দলিল নেই। জন্মের তারিখটা আসলে কবে সেটা নিয়েই ঐক্যমত নেই।

আর আপনার তাঁর প্রতি ভালোবাসার দলিল? সেটা তাঁর শেখানো দ্বীনকে মেনে চলার মাধ্যমে দেখান। দ্বীনের বিরোধিতা করার মাধ্যমে না!

আল্লাহুম্মা সল্লি ওয়া সাল্লিম আ'লা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ।

---------------

আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

‘‘তোমরা (দ্বীনের) নব প্রচলিত বিষয়সমূহ থেকে সতর্ক থাক। কেননা প্রত্যেক নতুন বিষয় বিদআ‘ত এবং প্রত্যেক বিদআত ভ্রষ্টতা’’। [সুনান আবু দাউদ, হাদীস নং ৩৯৯১ ও সুনান আত-তিরমিযী, হাদীস নং ২৬৭৬। তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান ও সহীহ বলেছেন।]

অনুগ্রহ করে ভালোবাসার নাম করে বিদআতে শামিল হবেন না।

20 ta oxirgi post ko‘rsatilgan.